Saturday, 31 August 2019
অষ্টম শ্রেণি বিজ্ঞান। অধ্যায় - ৬, পরমাণুর গঠন। JSC Science. Chapter 6
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
03:15
No comments:
পরমাণুকে যেভাবে প্রকাশ করতে হয়, পারমাণবিক ভর,e p n এর সংখ্যা
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
03:13
No comments:
Thursday, 29 August 2019
বিজ্ঞানের ১৬টি আবিষ্কার কুরআন থেকে, দেখে নাস্তিক আশ্চর্য! 16 discoveries...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
19:52
No comments:
রাসূলের চাঁদ দিখন্ড করার ঘটনার প্রমাণ পেল নাসার বিজ্ঞানীরা Cute Bangla
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
19:50
No comments:
এইমাত্র চাঁদের তৃতীয় কক্ষপথে সফল ভাবে প্রবেশ করল চন্দ্রযান ২ । chandray...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
19:49
No comments:
Mishari Rashid Alafasy - Video Clip | مشاري راشد العفاسي - أحببتك - فيدي...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
19:21
No comments:
কবরে প্রশ্ন হবে পাঁচটি! প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনটির তাইনা?
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
06:37
No comments:
Tuesday, 27 August 2019
বড় ছোট যে কোন বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার শরীয়ত সম্মত উপায় ll Mufti Kazi Ibrahim
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:39
No comments:
তাকওয়া অর্জনের ৭টি চমৎকার আমল | ড মুফতি ইমাম হোসাইন | dr mufti imam hussain
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:37
No comments:
ঘুম থেকে উঠার পর প্রথম হক কি ? Gum theke othar Por Prothom Hok Ki By She...
ঘুম থেকে উঠার পর প্রথম হক কি ? Gum theke othar Por Prothom Hok Ki By She...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:35
No comments:
মায়ের নামে কসম বাবার নামে কসম | Mayer name kosom Babar Name kosom By she...
মায়ের নামে কসম বাবার নামে কসম | Mayer name kosom Babar Name kosom By she...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:34
No comments:
বিদায় হজ্জের ভাষণ || The Speech of "Biday Hajj"
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:32
No comments:
সূরা আর রহমান (الرحمن) - মন জুড়ানো তেলাওয়াত | Zain Abu Kautsar
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:31
No comments:
★❤★ GIANT SEA TURTLES • CORAL REEF FISH • 12 HOURS • BEST RELAX MUSIC • ...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:29
No comments:
শিরক থেকে বেঁচে থাকার দোয়া | তওবা কিভাবে করতে হবে, তওবার সঠিক নিয়ম কি?
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:15
No comments:
অদৃশ্য শক্তিতে বিশ্বাস | ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:14
No comments:
Sunday, 25 August 2019
শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় “সাইন্টিফিক আল কুরআন” । Mi...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
10:59
No comments:
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন কাবা পৃথিবীর প্রথম জমিন । আল্লাহর কুদরত
কিহবে আলোর বেগে পৌঁছানোর পর | Travel light speed | OdhiGYAN Science
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
10:49
No comments:
অণু,পরমাণু ও পদার্থ (Atom, molecule and matter) । Brindaban ।
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
10:45
No comments:
চন্দ্রযান-১: ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযানের কথা | Chandrayaan-1: First Moon...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
10:24
No comments:
এইমাত্র চাঁদের কক্ষপথে সফল ভাবে প্রবেশ করল চন্দ্রযান ২ । Chandrayaan 2 i...
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
10:22
No comments:
Chandrayaan 2 Successfully Enters The Lunar Orbit
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
10:22
No comments:
বিজ্ঞান কি আল্লাহ্'কে আবিষ্কার করতে পারে? Is Science discover to Allah!
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
09:30
No comments:
দ্য সেন্টার ফর প্যান ইসলামিক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি রিসার্চ (অংশঃ ০১)
: بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
(পরম করুণাময় অসীম দয়ালু
আল্লাহর নামে)
2005,
Mugholtooly by Lane
West
Madarbari, Chittagong-4100
BANGLADESH
মহাবিশ্ব
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ
থেকে
স্থান ও সময় এবং
এদের অন্তর্ভুক্ত সকল বিষয় নিয়েই মহাবিশ্ব ।[১][২][৩][৪] । পৃথিবী এবং অন্যান্য সমস্ত গ্রহ , সূর্য ও অন্যান্য তারা ও নক্ষত্র , জ্যোতির্বলয়স্থ স্থান ও
এদের অন্তর্বর্তীস্থ গুপ্ত
পদার্থ , ল্যামডা-সিডিএম
নকশা ও শূণ্যস্থান (মহাকাশ) - যেগুলো এখনও তাত্ত্বিকভাবে অভিজ্ঞাত কিন্তু সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয় - এমন সব পদার্থ ও শক্তি মিলে যে জগৎ তাকেই বলা হচ্ছে মহাবিশ্ব ।
আমাদের পর্যবেক্ষণ-লব্ধ মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ২৮ বিলিয়ন parsec (৯১ বিলিয়ন light-year)[৫] । পুরো বিশ্বের আকার অজানা হলেও এর উপাদান ও সৃষ্টিধারা নিয়ে
বেশ কয়েকটি hypotheses বিদ্যমান । [৬] মহাবিশ্বের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়কে বলে বিশ্বতত্ত্ব।
মহা বিশ্বের মহা ইতিহাস
প্রাচীন কালে মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার জন্য নানাবিধ
বিশ্বতত্ত্বের আশ্রয় নেওয়া হত। পুরাতন গ্রিক দার্শনিকরাই প্রথম এই ধরণের তত্ত্বে
গাণিতিক মডেলের সাহায্য নেন এবং পৃথিবী
কেন্দ্রিক একটি
মহাবিশ্বের ধারণা প্রণয়ন করেন। তাঁদের মডেলে পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, বিশ্বতত্ত্বের ইসলামী ধারণামতে, পবিত্র ক্বাবা
পৃথিবীর মধ্যস্থলে অবস্থিত। আবার পবিত্র ক্বাবার ঠিক
বরাবর উর্ধ্বজগতে অবস্থিত সাত আসমানে বায়তুল মামুর
বিদ্যমান।
উদাহরণস্বরূপ, একটি পাথরকে যদি সপ্তাকাশে অবস্থিত বায়তুল মামুর থেকে ফেলে দেয়া হলে যত
বছরই লাগুক না কেন, একদিন না একদিন ঠিক নিম্নজগতে অবস্থিত
পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত মক্বা মুয়াজ্জিমার খানায়ে ক্বাবা বা বায়তুল্লাহ-তে গিয়ে
পড়বে।
বর্তমান মহাবিশ্বের উপাদান সমূহ
মহাবিশ্বের আকার বিশাল। বর্তমান বিশ্বতত্ত্বের মডেল অনুযায়ী মহাবিশ্বের
বর্তমান বয়েস ১৩.৭৫ বিলিয়ন বা ১,৩৭৫ কোটি বছর।
এই মহাবিশ্বের দৃশ্যমান অংশের "এই মুহূর্তের" ব্যাস প্রায় ৯৩ বিলিয়ন
আলোক বছর। মহাবিশ্বের ব্যাস ১৩.৭৫ x ২ = ২৭.৫০ বিলিয়ন আলোক বছরের চাইতে বেশী। তাছাড়া, পৃথিবীকে
কেন্দ্র করে মহাবিশ্বকে যদি একটা গোলক কল্পনা করা হয় তবে তার ব্যাসার্ধ হবে প্রায়
৪৬ বিলিয়ন আলোক বর্ষ। যদিও সেই দূরত্বে অবস্থিত গ্যালাক্সি থেকে এই মুহূর্তে যে
বিকিরণ বের হচ্ছে তা আমরা কখনই দেখতে পাব না।
মহাবিশ্বের সংঙ্গে আমাদের পরিচয় দৃশ্যমান বস্তুর আঙ্গিকে। পরমাণু ও পরমাণু
দ্বারা গঠিত যৌগ পদার্থ দিয়ে এই দৃশ্যমান বিশ্ব গঠিত। পরমাণুর কেন্দ্রে
নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দিয়ে গঠিত। প্রোটন ও নিউট্রনকে ব্যারিয়ন বলা হয়।
ব্যারিয়ন তিনটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত। অন্যদিকে দুটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত
কণাদের মেজন বলা হয়। অন্যদিকে লেপটন কণা কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত নয়। সবেচেয়ে
পরিচিত লেপটন কণা হচ্ছে ইলেকট্রন। প্রমিত মডেল বা স্ট্যান্ডার্ড মডেল কোয়ার্ক, লেপটন ও
বিভিন্ন বলের মিথষ্ক্রিয়ায় সাহায্যকারী কণাসমূহ (যেমন ফোটন, বোজন ও গ্লুয়োন) দিয়ে তৈরি। বর্তমানের কণা পদার্থবিদ্যাকে ব্যাখ্যা করতে
এই মডেল সফল হয়েছে।
মহাবিশ্বের
গঠন ও আকার
সূর্য আমাদের নিকটবর্তী নক্ষত্র। সূর্য
থেকে আলো আসতে ৮ মিনিট মত সময় লাগে, কাজেই
সূর্যের দূরত্ত্ব হচ্ছে আনুমানিক ৮ আলোক মিনিট। আমাদের সৌর জগতের আকার হচ্ছে ১০
আলোক ঘন্টার মত। সূর্যের পরে আমাদের নিকটবর্তী তারা হচ্ছে ৪ আলোক বর্ষ দূরত্বে।
নিচের চিত্রে ১৪ আলোক বর্ষের মধ্যে অবস্থিত সমস্ত তারাদের দেখানো হয়েছে।
আমাদের ১৪ আলোকবর্ষের মধ্যে যে সমস্ত তারা আছে
আমাদের
গ্যালাক্সি ছায়াপথ
নিচের ছবিতে ছায়াপথ গ্যালাক্সির বাহুসমূহ
দেখানো হয়েছে। সূর্য থেকে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০,০০০ আলোক বর্ষ। গ্যালাক্সির ব্যাস ১০০,০০০ বা এক
লক্ষ আলোক বর্ষ। কেন্দ্রের উল্টোদিকের অংশকে আমরা দেখতে পাই না।
স্থানীয়
গ্যালাক্সিপুঞ্জ
আমাদের ছায়াপথের ৫ মিলিয়ন বা
৫০ লক্ষ আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত স্থানীয় গ্যালাক্সিগুলো। এই স্থানীয়
গ্যালাক্সি দলের মধ্যে বড় তিনটি সর্পিল গ্যালাক্সি - ছায়াপথ, অ্যান্ড্রোমিডা বা M31 এবং M33 একটি মহাকর্ষীয় ত্রিভুজ তৈরি
করেছে। অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি আমাদের নিকটবর্তী বড় গ্যালাক্সি। এর দূরত্ব
হচ্ছে ২.৫ মিলিয়ন বা ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ। স্থানীয় দলের মধ্যে বেশীর ভাগ
গ্যালাক্সিই বড় ম্যাজিল্লান মেঘের মত অনিয়মিত গ্যালাক্সি।
স্থানীয়
গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জ
ডান দিকের চিত্রে স্থানীয়
গ্যালাক্সি দল থেকে স্থানীয় গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জের অন্যান্য দলের দূরত্ত্ব দেখানো
হয়েছে। এই মহাপুঞ্জের কেন্দ্র কন্যা গ্যালাক্সি দল হওয়াতে তাকে কন্যা মহাপুঞ্জ
বা মহাদল বলা হয়। কন্যা গ্যালাক্সি পুঞ্জ আমাদের থেকে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বা ৬.৫
কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই ধরণের মহাপুঞ্জগুলো ফিতার আকারের মত। সাবানের
বুদবুদ দিয়ে এই ধরণের গ্যালাক্সিপুঞ্জ গঠনের মডেল করা যায়। দুটো বুদবুদের
দেওয়াল যেখানে মেশে সেখানেই যেন গ্যালাক্সির ফিতা সৃষ্টি হয়েছে।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির
রহস্য উদঘাটনে আরো একধাপ
মহাজাগতিক ঘর্ষণ বা বিগ ব্যাং-এর পরে
মহাকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের যে তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, প্রথমবারের মতো তা
আবিষ্কৃত হয়েছে৷ এর থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে অনেক অজানা রহস্যের
সমাধান সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷
আইনস্টাইনের আপেক্ষিক
তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স-এর সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে এই তথ্যের নিশ্চয়তা
নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ নাসা জানিয়েছে, এই আবিষ্কার যে শুধু
মহাবিশ্বের রহস্য সম্পর্কে নিশ্চিত করবে তাই নয়, তার
সঙ্গে যে শক্তি স্থান ও সময়কে বিভক্ত করছে, সে
সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে৷
সৌজন্যেঃ , উইকিপিডিয়াঃ মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রকৃতি
প্রকৃতি (ইংরেজি : Nature) বলতে এই পৃথিবী তথা সমগ্র সৃষ্টিকে নির্দেশ করে। প্রকৃতি বলতে জাগতিক বিশ্বের মানব সৃষ্ট-নয় এমন
দৃশ্য-অদৃশ্য বিষয় এবং জীবন ও প্রাণকে বুঝায়।
হিগস-বোসন
কণা
ﺎﻣﻬﻧﻘﺘﻔﻓ ﺎﻘﺘﺭ ﺎﺘﻧﺎﻜ ﺾﺭﻻﺍﻮ ﺖﻮﻣﺴﻠﺍ ﻥﺍ ﺍﻭﺭﻔﻜ ﻥﻴﺬﻠﺍﺭﻴ ﻣﻠﻭﺍ
AvIqvjvg BqvivjøvwRbv Kvdviæ
Avbœvm&mvgv-IqvwZ Iqvj AviØv Kv-bvZv- ivZK¡vb dvdvZvK¡bv-ûgv (m~ivn
Avm& mvev, AvqvZt 3)|
A_©t Awek¦vmxiv wK †f‡e †`‡Lbv †h,
AvKvkgÛjx I c…w_ex IZ‡cÖvZfv‡e wg‡k wQj, AZtci Avwg Dfq‡K c…_K K‡i w`jvg| (Qnxn
‡KviAvb kixdt Zvdmxi Beby Kvmxi I Zvdmx‡i Avkivdx, c…óv 353)
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ
ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ
A_©t ÒwZwb A`„k¨ m¤¦‡Ü cwiÁvZ, AvKvkgÛjx I
c„w_ex‡Z AYy cwigvY wKQy wKsev Z`‡c¶v ¶y`ª A_ev e„nr wKQy hvui A‡MvPi bq; Ii
cÖ‡Z¨KwU my¯úó Mª‡š’ wjwce×|Ó (m~ivn& mvev, AvqvZt 3)|
ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦ RMr Avw`‡Z wQj GKwU
wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó †MvjK|Ó (m~Î: Kw¤úDUvi I
Avj-KziAvb, KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi, Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv,
`viæm& mvjvg, XvKv)|
Òwek¦ m„wó m¤c‡K© Avn‡j mybœvZ Iqvj
Rvgvqv‡Zi AbymvixMY cigvYyev‡`i mg_©KÓ (m~Ît Avn‡j mybœvZ Iqvj Rvgvqv‡Zi
AvwK`vt d‡Zn& Avjx †gvnvg¥` AvqvZyj¬vn& wmwÏKx Avj& †KvivBkx,
†b`v‡q Bmjvg, el©t 73, msL¨v-6, gniig-mdi 1435 wnt wW‡m¤ei-2013, c„ôv-40)|
ﻮﻫﻭ ﺍﻟﺧﻟﻗ ﺍﻟﻌﻟﻳﻢ ÒwZwb gnv m«óv, me©Á|Ó ( m~ivn& Bqvmx-bt AvqvZt)
ÒwZwbB mwVKfv‡e b‡fvgÛj I f~gÛj m„wó
K‡i‡Qb|Ó (m~iv AvbAvÕgt AvqvZ 73) |
Bbœvgv-Avgiyn~-Bhv-Aviv-`v kvBAvb& AvBu
BqvK~jv jvû Kzb& dvBqvK~b A_©t ÒwZwb hLb †Kvb wKQz Ki‡Z B”Qv K‡ib, ZLb
Zv‡K †Kej e‡j †`b ÔnIÕ ZLbB Zv n‡q hvqÓ | (m~iv Bqv-mx-b :
AvqvZ- 82)
Òwek¦ ewj‡Z c~‡e© wKQyB wQjbv (dvIqv‡q
wmwÏKxb, 1g LÛ, c„ôvt 74, KziAvb nv`xm wimvP© †m›Uvi (dzidzivi M‡elYv cÖwZôvb),
cÖKvkbvqt Bkvqv‡Z Bmjvg, KzZyeLvbv, gvK©v‡R Bkvqv‡Z Bmjvg, 2/2, `viæm mvjvg,
gxicyi, XvKv-1216), cÖKvkKvjt mvevb-1420wnRwi, b‡f¤ei 1999 Cmvqx) Ò†MvUv
m„wóK~‡ji g‡a¨ Avjøvn ZvAvjvi Kzb dv Bqv Kz‡bi ZvRvjøxB weivRgvbÓ (cÖv¸³ c„t
38)|
ÒAvmgvb-hgxb, Avik Kzimx jvIn-Kjg, MvQ
cvjv, e„¶ jZv, GK K_vq `„k¨gvb I A`„k¨ hZ wKQy i‡q‡Q Òme wKQyB m„wó
K‡i‡Qb gnvb AvjøvnÓ (cÖv¸³ c„t 33)|
ÒAvjøvn Zvqvjv mgmÍ e¯Íy‡K c~e© Dcv`vb
e¨ZxZ m„wó K‡i‡QbÓ (cÖv¸³ c„t 162)|
(Avj¬vncvK) Òwe‡kl gyQ‡jnv‡Zi Kvi‡Y cÖ_‡g
webv Dcv`v‡b DcKi‡Y m„wó K‡i, †mB me Dcv`v‡bi gva¨‡g wewfbœ e¯Ë m„wó Kivi
e¨e¯nv Pvjy K‡i‡QbÓ(m~Ît dvZvIqv‡q wmwÏKxb, 1-4 LÛ, c„ôv 163)|
(3) ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦ RMr Avw`‡Z wQj GKwU
wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó †MvjK-hv‡K `yLvb ejv
n‡q‡Q| GB `yLvb n‡jv ¯Zi wewkó Ggb GK M¨vm RvZxq c`v_© hv w¯’ifv‡e Szjv‡bv Ges
hvi g‡a¨ my²vwZmy² AYy KYv D”PZi ev wbgœZi Pv‡ci `iyY KLbI KwVb, GgbwK KLbI ev
Zij Ae¯’vq we`¨gvb ..........| gnvKv‡ji wewfbœ ch©v‡q †mB gnvwcÛwU LÛ weLÛ n‡q
ˆZix n‡q‡Q GK GKwU bxnvwiKv ev Qvqvc_ Ges †mB me Qvqvc_ m~‡h©i gZ †KvwU †KvwU
b¶Î wb‡q GKUv GKUv c„_K RMr iƒ‡c gnvk~‡Y¨ mÂvigvb| Avw` M¨vmxq wc‡Ûi LÛ weLÛ
n‡q cov wekvjKvi UzKiv¸wj Kvjµ‡g Avevi GKxfyZ n‡q m~‡h©i gZ GK GKwU b¶Î m„wó
K‡i‡Q ...... weÁvb ej‡Q, wek¦ m„wói Avw`‡Z wQj ÔbxnvwiKvÕ ev Ô†beyjvÕ hv g~jZt
M¨vmxq aygªwcÛ Gi Abyiƒc| KziAvbI ej‡Q, wek¦ m„wói Avw` ch©v‡q wQj GKwU GKxfyZ
aygªKzÛjx| †`Lv hv‡”Q, wek¦ m„wó m¤ú‡K© KziAv‡bi e³e¨ weÁv‡bi Avwe¯‹…Z Z‡_¨i
mv‡_ m¤ú~Y© mvgÄm¨c~Y©|Ó {m~Î: Kw¤úDUvi I Avj-KziAvb, c„ôv 59 I 60 :
Wvt L›`Kvi Ave`yj gvbœvb, Gg.we.we.Gm (XvKv), KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi(dzidziv
`iev‡ii M‡elYv cÖwZôvb), Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv, `viæm mvjvg, gxicyi,
XvKv-1216}
Bmjvg I cigvY~ev`
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ
ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ A_©t ÒwZwb A`„k¨
m¤¦‡Ü cwiÁvZ, AvKvkgÛjx I c„w_ex‡Z AYy cwigvY wKQy wKsev Z`‡c¶v ¶y`ª A_ev e„nr
wKQy hvui A‡MvPi bq; Ii cÖ‡Z¨KwU my¯úó Mª‡š’ wjwce×|Ó (m~ivn&
mvev, AvqvZt 3)|
ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦ RMr Avw`‡Z wQj GKwU
wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó †MvjK|Ó (m~Î: Kw¤úDUvi I
Avj-KziAvb, KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi, Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv,
`viæm& mvjvg, XvKv)|
Òwek¦ m„wó m¤c‡K© Avn‡j mybœvZ Iqvj
Rvgvqv‡Zi AbymvixMY cigvYyev‡`i mg_©KÓ (m~Ît Avn‡j mybœvZ Iqvj Rvgvqv‡Zi
AvwK`vt d‡Zn& Avjx †gvnvg¥` AvqvZyj¬vn& wmwÏKx Avj& †KvivBkx, †b`v‡q
Bmjvg, el©t 73, msL¨v-6, gniig-mdi 1435 wnt wW‡m¤ei-2013, c„ôv-40)|
ÒwKqvg‡Zi mgq Aek¨B Avm‡e, G‡Z †Kvb cÖKvi
m‡›`‡ni AeKvk †bB Ges wbðqB Avjvn Zv‡`i DVv‡eb hviv Ke‡i P‡j †M‡QÓ| (m~iv nv¾,
AvqvZ-07)
wbDwUª‡bv wK?
(بالإنجليزية: Neutrino)ÒwbDwUª‡bvÓ (Neutrino) n‡”Q ‰e`y¨wZK PvR©wenxb `~e©j I mwµq GK cÖKvi AwZ ¶y`ª cvigvbweK KYv| aviYv Kiv nq, GB ¶y`ª KYv ÔAïb¨Õ (Non-Zero) f‡ii KYv| 2011 mv‡ji †m‡Þ¤¦i gv‡m mv‡Y©i M‡elKiv GB wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii †NvlYv K‡ib| weÁvbx‡`i `vext Avwe¯K…Z wbDwUª‡bv eZ©gvb cÖPwjZ mvaviY Av‡jvK KYv †_‡K `ª“Z †eM m¤úbœ| D‡jL¨, weÁvbx cvDwj Dcjw× K‡ib †h, fi‡eM, kw³, †KŠwYK fi‡eM BZ¨vw` wbZ¨Zv eRvq ivLvi Rb¨ B‡jKUª‡bi mv‡_ Av‡iKwU LyeB nvjKv, Avavbnxb Ges cÖvq A`„k¨ KYvi Dcw¯nwZ cÖ‡qvRb| cÖ‡qvRbxq GB KYvwUiB bvg †`qv nq ÒwbDwUª‡bvÓ| AvaywbK c`v_©weÁv‡bi Ab¨Zg ¸রুZ¡c~Y© Ask n‡jv Model (Av`k©) bv‡gi GKwU ZË¡| GB g‡Wj Abymv‡i †gŠwjK KYv¸‡jv cÖavbZt wZb cÖKvi h_vt †KvqvK©, †evmb I †jcUb| Gi g‡a¨ †jcUb `yB cÖKvi h_vt B‡jKUªb I wbDwUª‡bv| wbDwUª‡bvi aviYv cÖ_g weÁvbxiv Rvb‡Z cv‡ib cigvYyi †eUv ¶‡qi we‡kœlY Ki‡Z wM‡q| wbDwUª‡bv I B‡jKUªb cÖK…wZ‡Z `yB fvB‡qi gZ| wZb ai‡Yi B‡jKUª‡bi g‡a¨ i‡q‡Q (1) B‡jKUªb B‡jKUªb (A_ev ïayB B‡jKUªb) (2) wgD B‡jKUªb (wgDqb) Ges (3) UvD B‡jKUªb (UvDqb) Ges Gi cÖwZwU B‡jKUª‡bi mv‡_ Av‡Q GKwU K‡i wbDwUª‡bv h_vt (1) B‡jKUªb wbDwUª‡bv, (2) wgD wbDwUª‡bv Ges (3) UvD wbDwUª‡bv |
wbDwUª‡bv
Avwe¯‹v‡ii BwZK_v
ÔcÖ‡R± A‡civÕ bv‡gi GK ‰eÁvwbK
cÖK‡íi Aax‡b BD‡ivcxq cvigvbweK M‡elYv †K›`ª mvov RvMv‡bv wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii
c`‡¶c MªnY K‡i| wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii †¶‡Î M„nxZ GK cix¶vi cÖ_g av‡c
myBRvij¨v‡Ûi wmb‡µv‡Uvb bv‡gi GKwU f~Mf© h‡š¿ †cÖvUb KYv ‰Zix K‡i Zv MªvdvB‡Ui
Ici wb‡¶c Kiv nq| G‡Z †cÖvUb KYv¸wj †f‡O wKQy Ae©ZxKvjxb RwUj KYv ‰Zix nq,
†h¸wj Aí mg‡qi g‡a¨B ¶q n‡q wgDqb Ges wgD wbDwUª‡bv ‰Zix K‡i| G KYv¸wj‡K ZLb
†jvnvi Ici wb‡¶c Kiv nq| G‡Z wgDqb wbDwUª‡bv ev‡` Ab¨ me KYv cÖwZdwjZ ev †kvwlZ
nq| wgDqb wbDwUª‡bv¸wj c„w_exi gvwU-cv_i †f` K‡i P‡j cÖvq 750 wK‡jvwgUvi `~‡i
BZvwj‡Z †cŠuQvq| GB wbDwUª‡bv †jvnvI †f` K‡i Abvqv‡m Gcvi †_‡K Icv‡i Qy‡U †h‡Z
cv‡i Av‡jvi MwZi PvB‡ZI †ekx MwZ‡Z| gRvi e¨vcvi n‡jv †h, fiwenxb A_©vr Aïb¨
f‡ii AwaKvix Av‡jvi KYvB mvaviYZt fic~Y© cvigvbweK KYvi PvB‡Z দ্রুZMvgx n‡q v‡K|
wKš‘ Aïb¨ f‡ii AwaKvix A_©vr fihy³ wbDwUª‡bv hvi MwZ‡eM bvwK ïb¨ f‡ii (Massless)
Av‡jv‡KI Qvwo‡q †M‡Q| GLv‡bB ‰eÁvwbK RM‡Zi Pig I cig
wem¥q| A‡civ cix¶‡Yi djvd‡j †`Lv hv‡”Q †h, wbDwUª‡bvi MwZ n‡jv Av‡jvi
MwZi 1.000025 ¸Y (0.0025 kZvsk) ‡ekx|
AvBb÷vB‡bi Av‡jvK ZË¡ ebvg wbDwUª‡bvt
AvR †_‡K শতাধিক eQi Av‡M প্রখ্যাত জার্মান পদার্থ
বিজ্ঞানী AvjevU© AvBb÷vBন তাঁর Avবিস্কৃত weL¨vZ mgxKiY E= MC2 (Theory of Special Relativity ev Ôwe‡kl Av‡cw¶K ZË¡Õ) এর আলোকে
ঘোষণা করেছিলেন যে, ÒAv‡jvi
†P‡q দ্রুZMwZi Avi wKQz †bBÓ| পক্ষান্তরে Center for European Research of Nuclears (CERN) Gi weÁvbxiv 2011 mv‡ji †m‡Þ¤ei gv‡m wek¦evmxi
D‡Ï‡k¨ আনুষ্ঠানিকভাবে G g‡g© †NvlYv K‡i †h, ÒAv‡jvi MwZi †P‡q ÔwbDwUª‡bvÕi
MwZ অন্ততঃ ২৫ ন্যানো সেকেন্ড †ewkÓ |
mwZ¨ mv‡Y©i M‡elYvjä wbDwUª‡bv
AvBb÷vB‡bi theory of special relativity ZË¡‡K ûgwKi g‡a¨ †V‡j w`‡”Q, Ab¨ew`‡K wgivRybœex ((mvjvjvû
AvÕjvBwn Iqvmvjvg) Gi eyivK †hv‡M g°v kixd gmwR`yj nvivg †_‡K gmwR`yj
AvK&mv Z_v n‡Z we‡kl wmuwo (wgivR) †hv‡M cÖ_g, wØZxq, Z…Zxq, PZz_© cÂg, lô
I mßg AvKv‡ki †kl mxgvbv Ôwm`&ivZzj gyনতাnvÕ Z_v n‡Z দ্রুতMvgx idid †hv‡M
8 RvbœvZ, Av‡k© AvRxg ch©ন্ত †cŠuQvi
ci GK iv‡Zi g‡a¨ cybivq c„w_ex‡Z †b‡g Avmvi Rb¨ cÖ‡qvRb eZ©gvb we`¨gvb mvaviY
Av‡jvi MwZi PvB‡ZI দ্রুZZg MwZ mZ¡v-hv wbDwUª‡bvi gva¨‡g Avgiv Avkv Kwi, cweÎ Bm&iv,
wgivRybœex (mvল্লাল্লাû AvÕjvBwn Iqvmvjvg) cÖf„wZ `¦xb-ag© welqK NUbvejxi GKUv ‰eÁvwbK m`yËi cvIqv hv‡e Bb&kvAvল্লvnyj& Av'RxR|
mv‡Y©i cÖ_g m„wóZvwË¡K M‡elYvi mdj Avwe¯‹vi wbDwUª‡bvt
1905 mvj|
Rvg©vbxi RMwØL¨vZ weÁvbx AvjevU© AvBb÷vBb Zuvi HwZnvwmK I me‡P‡q D”Pgv‡bi †h
ZË¡ (theory) ˆeÁvwbK RM‡Z DÌvcb K‡i
ixwZgZ weÁvb I cÖhyw³MZ wece mvab K‡iwQ‡jb †m ZË¡wU‡K ejv nq theory of
special relativity ev we‡kl Av‡cw¶K ZË¡| GB
Z‡Ë¡i g~j K_v ÒAv‡jvi †P‡q `ª“ZMwZi †Kvb wKQz G RM‡Z †bBÓ| G Z‡Ë¡i Ici wfwË
K‡iB `uvwo‡q Av‡Q c`v_© weÁv‡bi Ab¨ me ZË¡| ZvB AvBb÷vB‡bi special
relativity Z‡Ë¡i †Kvb cÖKvi wec` wech©q NU‡j ˆewk¦K ¸i“Z¡c~Y© hZme
ˆeÁvwbK ZË¡ a‡m co‡Z cv‡i- G AvksKvi g‡a¨B myBRvij¨v‡Ûi †R‡bfv kn‡ii Kv‡Q
d«v‡Ýi mxgvন্তবZx© A‡j Aew¯’Z
we‡k¦i me©e„nr weÁvb M‡elYv †K›`ª CERN KZ…©K †m‡Þ¤^i 2011 mv‡j †NvlYv Kiv nq ÒAv‡jvi
†P‡qI দ্রুZMwZ‡Z P‡j
wbDwUª‡bv KYvÓ| mv‡Y©i weÁvbxiv wZb eQi M‡elYvi ci GB Z_¨ cÖKvk K‡i| d‡j mv‡Y©i
weÁvbx‡`i G Z_¨ ûgwKi g‡a¨ †d‡j †`q AvBb÷vB‡bi we‡kl Av‡cw¶K ZË¡ (theory of
special relativity ) bvgK we‡k¦i
me‡P‡q weL¨vZ mgxKiY E= MC 2 ZË¡‡K| wbDwUª‡bv Z‡Ë¡i g~j K_v gnvk~‡Y¨ Av‡jvi
†P‡qI wbDwUª‡bv P‡j দ্রুZ MwZ‡Z| D‡jL¨,
Av‡jv cÖK…Zc‡¶ cÖwZ †m‡K‡Û 1,86,282.397 gvBj MwZ‡Z P‡j| wbDwUª‡bv n‡jv GKwU
ˆe`y¨wZK Avavb wbi‡c¶, ¶z`ª I k~‡b¨i KvQvKvwQ fihy³ †gŠwjK KYv| †bv‡ej weRqx
weÁvbx fîM¨vbd Gd cvDwj (volfganf pawl) 1930 mv‡j wbDwUª‡bv KYv m¤ú‡K© aviYv †`b| 1934 mv‡j cÖ_gev‡ii
gZ wbDwUª‡bvi Aw¯ZZ¡ m¤ú‡K© wbwðZ nIqvi ci GLb ch©š— GUv ïay weÁvbx‡`i AevK K‡i
hv‡”Q| myBRvij¨v‡Ûi †R‡bfvq nvB GbvwR© wdwR· j¨ve CERN †_‡K 730
wKtwgt `~‡i BZvwji MÖvY mv‡mv ch©ন্ত f~-Mf©¯’
Uv‡b‡j GB KYv †cÖiY Kiv n‡j M‡elKiv †`‡Lb GB KYv myBRvij¨v‡Ûi †R‡bfv †_‡K
BZvwji MÖvY mv‡mv †cŠu‡Q Av‡jvi PvB‡Z AwaK MwZ‡Z| GB †NvlYvi ci weÁvb RM‡Z †`Lv
†`q eo ai‡Yi f~wgK¤ú| KviY? wbDwUª‡bv hw` Av‡jvi MwZi AwaK nq Zvn‡j (weÁvb
RM‡Zi) Ggb ZË¡ (theory ) †f‡½ co‡Z
cv‡i| †h Z‡Ë¡i Ici wfwË K‡i Av‡Q mycÖwZwôZ A‡bK wdwR‡·i Z_¨ I m~Îvw`| hv
wbDwUª‡bv †f‡½ w`‡Z cv‡i| c¶vন্ত‡i D¾xweZ
n‡Z cweÎ wgivR, Bm&iv ZË¡-‡h Z‡Ë¡ Avj¬vncv‡Ki Kz`iwZ Av‡jvK evnb
†evivK, wgivR I id&id& Gi gva¨‡g c„w_exi ga¨¯nj Lvbv‡q K¡vev n‡Z GK bq
`yB bq mvZ mvZwU AvKvkÐgnvKvk AwZµg K‡i 8 Rvbœv‡Zi E‡aŸ© Aew¯nZ ïay Avi&‡k
AvÕRxg GB wekvj e¨eavwbK Ae¯nv‡b gvÎ 27 eQi `ywbqvex mgq hv GK Av‡jvKe‡l©i AwZ
¶y`ªvwZ¶y`ª mgq †bqvi g‡a¨ wbwnZ Av‡Q Av‡jvP¨ eyivK, wgivR I id&id&
bvgK Kz`iwZ evnbmg~‡ni AKíbxq MwZ‡e‡Mi aviYv| mvY© KZ„©K Avwe¯K…Z wbDwUª‡bv
Av‡jvi mxgve× MwZ‡eM (186000 gvBj) Gi aviYv‡K cv‡ë w`‡q Kvh©Zt Dc‡iv³ Ky`iwZ
evnb·qi Afvebxq MwZ‡e‡Mi aviYvi Øvi D‡b¥vPb K‡i‡Q gvÎ (mye&nvbvj¬vvwn
Iqvwenvg&w`wn mye&nvbvj¬vvwnj& AvÕRxg)|
D‡j¬L¨, msL¨v/cwimsL¨vbMZ
fv‡e wbDwUª‡bv Av‡jvi †P‡q AšZZt 60 b¨v‡bv †m‡KÛ †ewk দ্রুZMwZi| A_v©r GK †m‡KÛ‡K hw` GKk †KvwU fvM Kiv nq Zvn‡j Zvi 60
fvM hZUzKz mgq n‡e, wVK ZZUzKz mgq Av‡M wbDwUª‡bv †iv‡gi j¨ve‡iUwi‡Z wM‡q
†cŠu‡Q|
wbDwUª‡bv cix¶vi wbfy©jZvt
cix¶vi
wbfy©jZvt wbDwUª‡bv cÖPwjZ Av‡jvi MwZ‡Z (cÖwZ †m‡K‡Û 1 j¶ 86 nvRvi
gvBj †e‡M) Qy‡U P‡j myBRvij¨vÛ n‡Z BZvwj‡Z Avm‡Z †h mgq jvMZ cix¶v‡ন্ত †`Lv †M‡Q †h, eZ©gvb cÖPwjZ Av‡jvi MwZi PvB‡Z
Aন্তZt 60 b¨v‡bv ‡m‡KÛ (1 b¨v‡bv
†m‡KÛ=1 †m‡K‡Ûi 100 †KvwU fv‡Mi GK fvM) Av‡M BZvwj‡Z wbDwUª‡bv †cŠu‡Q †M‡Q| D‡jL¨,
†h†Kvb ‰eÁvwbK cix¶vi djvdj cvIqvi ci weÁvbx‡`i cÖ_g KvRB n‡jv, cix¶vwUi fyjত্রুwU `~i Kiv| G ai‡Yi fyjত্রুটি `~i Kivi Rb¨ weÁvbxiv hv K‡i _v‡Kb Zv n‡”Q
GKB cix¶v evi evi Kiv| wewfbœ Kvi‡Y cix¶vi djvdj Awfbœ bvI Avm‡Z cv‡i| ZLb
GKvwaK cix¶vi Mo djvdj wnmve Kiv nq| †mB mv‡_ fy‡ji AvksKvI wnmve
Kiv nq| Av‡jvP¨ A‡civ cix¶vq wbDwUª‡bvi MwZ cwigvc Kiv n‡q‡Q K‡qK eQi e¨vcx
cÖvq 16,000 (‡lvj nvRvi) evi| ZviciI Mo †h djvdj cvIqv †M‡Q, Zv‡Z fy‡ji AvksKv
MY¨ Kivi ciI wbDwUª‡bvi MwZ Av‡jvi MwZi †P‡q †ekx cÖgvwYZ nq| GLb evKx _vKj
Avm‡j cix¶vwU‡ZB অন্তর্নিহিত †Kvb fyj Av‡Q wKbv Zv hvPvB Kiv| A‡civ cix¶vwU‡Z GLb ch©ন্ত †Kvb fyj cvIqv hvqwb| cix¶Kiv ZvB me Z_¨ B›Uvi‡b‡U Db¥y³ K‡i
w`‡q‡Qb|
wbDwUª‡bvi Bmjvgx g~j¨vqbt
ÔeyivKÕ
Aviex ÔeiKzbÕ kã †_‡K wb¯úbœ hvi A_© we`y¨r (Electric/Current)| we`y¨‡Zi Ab¨Zg cÖavb ag© n‡”Q দ্রুZ cwievwnZ nIqv hvi Rb¨ `ª“ZMwZ eySv‡Z ejv n‡q _v‡K we`y¨Z
MwZ| D‡ল্লL¨, cÖ_gZt cweÎ
†givRybœex mল্লাvjvû ÔAvjvBwn Iqv mvল্লvg c~‡e© cweÎ g°v Avj gyqvw¾gv †_‡K cweÎ gmwR`yj Avj
AvK&mv ch©ন্ত ivwÎKvjxb
gnvbex mjvjvû ÔAvjvBwn Iqv mvjvg Gi cwiågY‡K Bmjv‡gi BwZnv‡m ÔBm&ivÕ ejv
nq | Bmiv-‡Z gnvbex mjvjvû ÔAvjvBwn Iqv mvjvg-‡K enbKvix hv‡bi bvg
wQj eyivKÐ hv Mvavi †P‡q †QvU Avi L”P‡ii †P‡q eo GK AwZ `ª“ZMvgx evnb| wØZxqZt
cweÎ †givRybœex mল্লাvjvû ÔAvjvBwn Iqv mvল্লvg msNwUZ n‡qwQj H iv‡Zi wØZxq ch©v‡q wgivR ev
wmuwo‡hv‡M gmwR`yj Avj AvKmv n‡Z mvZ Avmgv‡bi me©‡kl mxgvbv wm`&ivZyj
gybZvnv Ges Z„ZxqZt wm`&ivZyj gyb&Zvnv n‡Z id&id& hv‡b
ÔAvi‡k ÔAvRxg ch©ন্ত †cŠuQv GmeB
`ywbqvex mvaviY Av‡jvi MwZ‡Z bq †mªd Avল্লvncv‡Ki m„ó AKíbxq Kz`iwZ MwZ m¤úbœ n‡q‡Q-†h MwZ‡Z ivYx
wejwK‡mi wmsnvmb †Pv‡Li cj‡K ev`kvn †mvjvqgvb ÔAvjvBwnm& mvjv‡gi wbKU Avjvncv‡Ki
ûKz‡g ‡cŠu‡Q wM‡qwQj GKBfv‡e Av‡Liv‡Z †b°vi ev›`vivI Avল্লvncv‡Ki Kz`iwZ MwZ‡ZB gyû‡Z©i g‡a¨ AwZ `ª“ZZvi mv‡_
cyjwmivZ cvi n‡q RvbœvZ evmx n‡eb| Av‡jvi MwZi PvB‡ZI †h e¯Íy ev e¯Íy KYvi MwZ
†h †ewk n‡Z cv‡i mvY© KZ„©K Av‡jvi PvB‡Z `ª“ZMwZ m¤úbœ e¯Íy KYv
wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡i my¯úó cÖZxqgvb Ges wgivRmn Bmjv‡gi Ab¨vb¨ MwZ welqK
welqvw`i ‰eÁvwbK mZ¨Zv Avল্লাn cv‡Ki
†g‡nievYx‡Z AveviI cÖgvwYZ n‡jv|
2011সালে কেয়ার্ন ল্যাবরেটরী প্রেস রিলিজ দেয়, নিউট্রিনো এক প্রকার কণার সন্ধান তারা পেয়েছেন যা আলোর চাইতে গতিসম্পন্ন। তবে পরে তারা বলে যে এই এক্সপেরিমেন্টের ফাইবার অপটিক টাইমিং সিস্টেমের ভুলের কারণে কণার গতি ভুল মাপা হয়েছে।
2011সালে কেয়ার্ন ল্যাবরেটরী প্রেস রিলিজ দেয়, নিউট্রিনো এক প্রকার কণার সন্ধান তারা পেয়েছেন যা আলোর চাইতে গতিসম্পন্ন। তবে পরে তারা বলে যে এই এক্সপেরিমেন্টের ফাইবার অপটিক টাইমিং সিস্টেমের ভুলের কারণে কণার গতি ভুল মাপা হয়েছে।
ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্বের পথে আধুনিক বিজ্ঞান এবং
প্রযুক্তিঃ
পরিপ্রেক্ষিত হিগস-বোসন কণা আবিস্কার
-শেখ মুহাম্মদ রমজান হোসেন
-শেখ মুহাম্মদ রমজান হোসেন
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ
كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا ۖ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ
حَيٍّ ۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
Òযারা কুফরি করে তারা কি দেখে না (১) যে, আসমানসমূহ ও
যমীন মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে, তারপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম(২); এবং প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে (৩); তবুও কি তারা ঈমান আনবে নাÓ? (m~iv
Avj-Avw¤^qvi 30 bs AvqvZ) মূলঃ তাফসীর ইবনে
কাসীর।
وَهُوَ الَّذِىۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ
بِالۡحَـقِّؕ وَيَوۡمَ يَقُوۡلُ كُنۡ فَيَكُوۡنُ ؕ قَوۡلُهُ الۡحَـقُّ ؕ وَلَهُ
الۡمُلۡكُ يَوۡمَ يُنۡفَخُ فِى الصُّوۡرِ ؕ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَ الشَّهَادَةِ ؕ
ÒwZwbB mwVKfv‡e b‡fvgÛj m„wó
K‡i‡Qb| ‡hw`b wZwb ej‡eb: n‡q hv, AZ:ci n‡q hv‡e| Zvui K_v mZ¨Ó (m~iv AvbAvÕgt
AvqvZ 73) |
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ
A_©t ÒwZwb A`„k¨ m¤¦‡Ü cwiÁvZ, AvKvkgÛjx I c„w_ex‡Z AYy cwigvY
wKQy wKsev Z`‡c¶v ¶y`ª A_ev e„nr wKQy hvui A‡MvPi bq; Ii cÖ‡Z¨KwU my¯úó
Mª‡š’ wjwce×|Ó (m~ivn& mvev, AvqvZt 3)|
m…wóZ˦t (Creatism)
m…wóZ˦t (Creatism)
`…k¨gvb I A`…k¨gvb Rxe I Ro
wbwe©‡k‡l mKj m…wóRM‡Zi m…wóKZ©v †K Ges GwU KLb Ges wKfv‡e msNwUZ n‡qwQj-G
m¤úwK©Z wemÍvwiZ Zvw˦K BwZnvm-‡K m…wóZ˦ (Creatism) ejv nq| G wel‡q i‡q‡Q GKvwaK Z˦ h_vt (K) Avw¯ÍK¨ev`x
m…wóZ˦ Ges (L) e¯‘ev`x m…wóZ˦|
(K) Avw¯ÍK¨ev`x m…wó Z˦t
GB m…wóZ˦ weÁvbgb¯‹
ag©wek¦vmx mvaviY Ávbx-weÁvbx‡`i aviYv-wek¦v‡mi Dci cÖwZwôZ| Avw¯ÍK¨ev`x GB
m…wó Z‡Ë¦i bvg ÔBwgwbk&wbRgÕ (Emanisnism)| ÔBwgwbk&wbRgÕ gnvwe‡k¦i DrcwË, m„wó I cwieZ©b m¤cwK©Z
GKwU aviYvi bvg| Bs‡iRx ÔEmanationÕ kãwU G‡m‡Q j¨vwUb ÔEmanareÕ kã †_‡K hvi A_© To flow
from...to pour fourth or out of A_©vr
†Kvb Drm n‡Z e‡q Avmv, cÖevwnZ ev AvMZ, DrmvwiZ BZ¨vw`| BgvwbR‡gi aviYv-wek¦vm
n‡”Q, me m„wói, me e¯‘i D™¢e n‡q‡Q First Reality ev First Principle ev Perfect God †_‡K| BgvwbkwbRg
n‡”Q Transcendental Principle A_©vr A‡jŠwKK ev gvby‡li Áv‡b Kzjvq bv-Ggb GKwU welq (Beyond human
knowledge: Source: A Student Dicsionary)| GB m…wóZ˦ g‡Zt Nothing †_‡K Everything m„wó nqwb eis AZ¨šÍ m~²`kx© cÖej cÖZvckvjx gnvÁvbx GKK
m…wóKZ©vB mycwiKwíZ I myk…•LwjZ Ges K‡Vvi wbqgvbyewZ©Zvi ga¨ w`‡q GB gnvwek¦
m…wó K‡i‡Qb|
Bmjvgx m…wóZ˦
Avw¯ÍK¨ev`x m…wó Z‡Ë¦i Aci
bvg ÒBmjvgx m…wóZ˦Ó| Bmjvgx m…wóZ‡Ë¦ gnvwe‡k¦i gnvb m…wóKZ©v, m…wói c~e©
Ae¯nv Ges c‡ii Ae¯nv, cwieZ©b Ges a¦smhÁ (‡KqvgZ) BZ¨vw` m¤cwK©Z cweÎ KziAvb I
mnxn& mybœvn wfwËK wek` weeiY i‡q‡Q|
(L) যান্ত্রিক e¯‘ev`x m…wóZ˦
e¯‘ev`x m…wóZ‡Ë¦ †Kej মহাwe‡k¦i wKfv‡e DrcwË N‡U‡Q †m m¤ú‡K© aviYvg~jK
wek¦ m…wóZ˦ i‡q‡Q| e¯‘ev`x m…wóZ‡Ë¦i Aci bvg Òhvwš¿K e¯‘ev`Ó| G
Z˦ g‡Z, e¯‘i hvwš¿K avivq m…wói Aw¯ÍZ¦ jvf, cwiPvjbv Ges e¨e¯nvcbv NU‡Q|
A_©vr hv N‡U‡Q, NU‡Q Ges NU‡e-meB e¯‘i hvwš¿K avivi Awbevh© dmj| G ai‡Yi
aviYv-wek¦vm GK ai‡Yi wbðqZvev‡`i Dci cÖwZwôZ| G‡Z hv NU‡e Zv NU‡eB Ges hv NU‡e
bv, Zv KLbB NU‡e bv| G ai‡Yi wek¦vm Bmjvgxg‡Zi ÒAcwieZ©bkxj ZKw`iÓ Gi
mv‡_ cÖvq mv`…k¨c~Y©|
Ab¨w`‡K ÔBwgwbk&wbRgÕ (Emanisnism) Z‡Ë¦ও we‡k¦i
mKj DÌvb-cZ‡bi g~‡j i‡q‡Q এক মহান সত্বার wbi¼zk B”Qvkw³র অস্তিত্ব-কে স্বীকার করা হয়েছে। wZwb hLb hv B”Qv ZvB
K‡ib| d‡j GBg‡Z, †Kvb wel‡q wbðqZv ev njd K‡i ejv hvq bv †h, GwU NU‡eB NU‡e Ges
wKsev GwU KLbB NU‡e bv| m…wóKZ©vi wbi¼zk B”Qvkw³i এই aviYv-wek¦vm Gi Aci bvg ÒAwbðqZvev`Ó |
অন্যদিকে,বিশ্বজগতে এমন কিছু ঘটনা/বিষয় রয়েছে তা পরিবর্তনশীল
এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরতি ইচ্ছায় এর পরিবর্ধন-পরিবর্তন সাধন হয়ে থাকে অথবা কুরআন-সুন্নাহ
সম্মত এমন মাসনুন দোয়া-মুনাজাত রয়েছে যা তাৎক্ষণিকভাবে অথবা সময়সাপেক্ষে পরিবর্তনযোগ্য
তকদিরের (ভাগ্যের) পরিবর্তন ঘটায়। যেমনঃ
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(বিসমিল্লাহিল্লাজি লা-- ইয়া
দুররু মাআ'সমিহি শাইয়ুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা—ফিসসামা-য়ি ওয়া হুয়াস সামি'উল আ'লিম)।- [আবু
দাউদ:৫০৯০,তিরমিজি: ৩৩৮৮,ইবনে
মাজাহ:৩৮৬৯]
: হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত
মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, 'প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় তিনবার করে
এই দোয়াটি পাঠ করলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারবে না।'
AvaywbK ‰eÁvwbK m…wóZ‡Ë¦i BwZK_vt
AvaywbK ˆeÁvwbK m…wóZ˦t
gnvwe‡k¦i ïiæ I †kl Ges Gi ga¨eZx© AeKvVv‡gvMZ weKvk, w¯nwZ BZ¨vw` m¤úwK©Z
wbweo ch©‡eÿY, AbymÜvb, M‡elYv, cixÿv-wbixÿv-mgxÿv j× AwR©Z we‡kl Ávb wfwËK
Z˦‡K ˆeÁvwbK m…wó (Scientific Cosmogony) ejv nq|
MÖxK `vk©wbK †W‡gvwµUvm
Cmvãc~e© 400 A‡ã me©cÖ_g c`v‡_©i ¶z`ªZg ÔKYvÕ (atom) wb‡q gZev` †cvlY K‡ib| ÔA¨v‡UvgvmÕ (atomas) kã †_‡K GUg (atom) kãwUi eyrcwË hvi A_© AwefvR¨ non
divided | A¨vwióU‡ji g‡Z, c`v_©mg~n wbiew”Qbœ (continuous)| G‡K hZB fv½v †nvK bv †Kb, c`v‡_©i KYv¸‡jv ¶z`ª n‡Z ¶z`ªZi
n‡Z _vK‡e| weÁvbx iv`vi †dvW© Zvi cix¶vjä djvdj †_‡K e‡jb †h, cigvYy n‡jv
abvZ¥K Avavb I fi GKwU ¶z`ª RvqMvq Ave×Õ| wZwb Gi bvg †`b ÔwbDwK¬qvmÕ| ‡cÖvUb I
B‡jKUªb wb‡q MwVZ nq cigvYy †K›`ª-GB †K›`ª‡K ejv nq wbDwK¬qvm©| wbDwK¬qvm© Gi
Pvi cv‡k Nyi‡Z _v‡K cigvYyi B‡jKUªb¸wj|
gnvwe‡ùviY (Big Bang) NUvi c~‡e©Kvi Ae¯nvt
Computer simulation Gi
gva¨‡g weÁvbxiv G wm×v‡šÍ DcbxZ nb †h, সম্পূর্ণ নাই/শুন্য/নিল(Nil)/জিরো(Zero) থেকে মহাবিশ্বের
মহাসৃষ্টির সূচনার পূর্বে অর্থাৎ gnvwe‡ùviY(Big Bang) NUvi পূর্বে gnvkw³kvjx এক প্রকার Av‡jvK kw³B বিদ্যমান ছিল-যার বৈজ্ঞানিক
নামঃ Ògnvm~¶è Av‡jvK weন্দুÓ (Highest
Energetic Radiation) | G‡ZB mw¤§wjZfv‡e
(Combinedly) wbwnZ wQj AvR‡Ki Avmgvb I hwgb ev c„w_ex| weÁvbx‡`i
aviYv, cÖvq 1500 †KvwU †_‡K 2000 †KvwU ermi c~‡e© D³ Ògnvm~¶èÓ we›`ywU 103 e.s.a ch©v‡q w¯’wZ jvf K‡iwQj| 1965 mv‡j cðvrc`
wewKiY (Back Ground Radiation) Avwe¯‹v‡ii d‡j weÁvb G mZ¨ gvbe RvwZ‡K AeMZ Kiv‡Z m¶g
nq †h, ïY¨ †_‡K m„ó D³ Highest Energetic Radiation bvgK gnvAv‡jvK †MvjKwU gnvwe‡ùviY (Big Bang) Gi c~‡e© wÎgvwÎK Ae¯nvq weivRgvb wQj h_vt (1)
Av‡jv (2) kw³ I (3) Zvc| GB mgq ZvcgvÎvi cwigvY wQj 1032 wWwMª
†Kjwfb A_©vr 10,000 †KvwU, †KvwU, †KvwU, †KvwU wWwMª †Kjwfb|
gnvwe‡ùviY (Big Bang) NUvi cieZx© gyû‡Z©i Ae¯nvt
বৈজ্ঞানিক ভাষ্যমতেঃ Highest Energetic RadiationwUi gnvwe‡ùviY (big bang) NUvi ci gyû‡Z© ZvcgvÎv 1030k †_‡K `ªæZ 1028 †Z †b‡g Av‡m ZLb (highest
energetic photon) KwYKviv wb‡R‡`i g‡a¨
msNl© NwU‡q c`v_© KwYKv wn‡m‡e cÖ_g ev‡ii gZ Ô‡KvqvK©Õ Ges Gw›U †KvqvK© Gi Rb¥
†`q| AZtci ZvcgvÎv hLb Av‡iv wb‡P †b‡g 1013 †Kjwf‡b `vuovq ZLb
†KvqvK© Ges Gw›U †Kvqv‡K©i g‡a¨ msNl© N‡U| G‡Z Dfq Gi e¨vcK aŸsm mvab N‡U Ges
Aewkó †_‡K hvq wKQz †KvqvK©| Gici hLb ZvcgvÎv Av‡iv K‡g wM‡q 1010 †Kjwfb-G
`uvovq ZLb 3wU †KvqvK© (1wU Avc †KvqvK© Ges 2wU WvDb †KvqvK©) wgwjZ n‡q †cÖvUb
KwYKv (Proton Particle) Ges 3wU
†KvqvK©(2wU Avc †KvqvK© Ges 1wU WvDb †KvqvK©) wgwjZ n‡q wbDUªb KwYKv (Neutron
Particle) m„wó n‡Z _v‡K| Zvici
ZvcgvÎv hLb 109 †Kjwfb-G †b‡g Av‡m ZLb cwi‡ek Av‡iv AbyKz‡j
Avmvq m„ó †cÖvUb KwYKv I wbDUªb KwYKv ci®úi wgwjZ n‡q cÖ_gev‡ii gZ gnvwe‡k¦
GUwgK wbDwK¬ MwVZ n‡Z _v‡K| Gici ZvcgvÎv AviI K‡g wM‡q 108 †Kjwfb
ZLb GUwgK wbDwK¬ gnvwe‡k¦ wew¶ß fv‡e Qz‡U Pjv B‡jKUªwbK
KwYKv‡K (Electronic Particle) PZz©w`‡Ki K¶c‡_ aviY K‡i। ফলে, cÖ_gev‡ii gZ AYy'i (atoms) m„wó nq| AviI c‡i hLb ZvcgvÎv 3,000 †Kjwf‡b DcbxZ nq ZLb
gnvwe‡k¦i g~j msMVb M¨vjvw· (glaxy) m„wó n‡Z _v‡K| cieZx©‡Z Gi †fZi b¶Î, MÖn, DcMÖn BZ¨vw`
m„wó n‡Z _v‡K| AZtci ZvcgvÎv hLb Av‡iv wbgœMvgx n‡q gvÎ 3 †Kjwf‡b †b‡g Av‡m ZLb
mvwe©K cwi‡ek AbyK~‡j _vKvq c„w_ex‡Z MvQ-cvjv, Rxe-Rš‘ I cÖv‡Yi e¨vcK mgv‡ek
mgvMg NU‡Z _v‡K-GB n‡”Q AvaywbK
weÁvb I cÖhyw³i wek¦ m„wó I Zvi msMV‡bi BwZK_v (History of
Universe)| GB wQj 2012 mv‡ji 4Vv
RyjvB‡qi c~e© ch©šÍ mg‡qi wek¦ m…wóZ˦ Gi BwZK_v|
m„wó ZË¡ welqK STANDARD MODEL
c`v_© we`¨vi †h ZË¡wUi mvnv‡h¨
†Kvb e¯‘i f‡ii e¨vL¨v `uvo Kiv‡bv nq Zv‡K Òó¨vÛvW© g‡WjÓ standard
model ejv nq| GB ó¨vÛvW© g‡WjwU
Aw¯ÍZ¦kxj n‡Z n‡j cÖ‡qvRb c‡o Ggb GK AwZ cvigvYweK KYv hvi ‰eÁvwbK bvg
ÒwnMm-‡evmb KYvÓ ev god’s particle | c`v_© we`¨vi GB ó¨vÛvW© g‡Wj Abymv‡i, gnvwe‡k¦i cÖwZwU
e¯‘i fi m„wói cÖv_wgK wfwË n‡”Q GKwU ÒA`„k¨ KYvÓ| e¯‘i f‡ii
g‡a¨ wfbœZvi KviYI GB A`„k¨ KYvwUB|
c`v‡_©i fi wKfv‡e ˆZwi nq Zv
Rvb‡Z 1964 mvj †_‡K ïiæ nq M‡elYv| 2001 mv‡j G‡m M‡elKiv hy³iv‡óªi
dvwg©j¨v‡ei "†UfvÆb" নামক hন্ত্রের মাধ্যমে IB KYvi †LuvR Ki‡Z ïiæ K‡ib| G KYvi †Luv‡R 2008
mv‡j cÖwZ‡hvwMZvq bv‡gb CERN Gi
L¨vZbvgv M‡elKiv| 2011 mv‡j CERN Gi weÁvbxiv G KYvi cÖv_wgK Aw¯ÍZ¡ †Ui cvb|
D‡jøL¨, ÷¨vÛvW© g‡W‡ji m¦xK…Z
11wU †gŠwjK KYvi †LuvR cvIqv hvq A‡bK Av‡MB| 12Zg KYvwU Lyu‡R cvIqvi Rb¨
†evm-AvBb÷vBb-wcUvi wnMm Msiv ব্যাকুল n‡q D‡VwQj-hv Ae‡k‡l wcUvi wnM‡mi RxeÏkvq weMZ 4Vv RyjvB, 2012 Cmvã,
eyaevi jvR© n¨vWªb †KvjvBWvi h‡š¿i mvnv‡h¨ CERN KZ…©K Avwe¯‹…Z nq eûj cÖZ¨vwkZ AwZcvigvbweK wnMm †evmb
Z_v MW©m cvwU©‡Kj ev Avj¬vn m„ó KYv| (myenvbvjøvwn Iqv wenvg&w`wn myenvbvjøvwnj AvÕRxg)
e¯Ë/c`v_© G‡jv wK K‡i?
‰eÁvwbK M‡elYvg‡Z, gnvwe‡ùviY
ev weM e¨vs cieZx© m`¨ m„ó gnvwek¦ hLb GKUz kxZj n‡jv, ZLb †mLv‡b m„wó nq A`„k¨
GK ai‡Yi ej (Force)-hv‡K ejv nq wnMm wdì (Higgos Field)| wnMm wd‡ì ˆZix nq AmsL¨ ¶z‡` KYv| GB wnMm wdì w`‡q Qz‡U
hvIqv me KYv wnMm-†evm‡bi
ms¯ú‡k© এসে ficÖvß
nq| ficÖvß এই KYv-কে বলা হয় বস্তু বা c`v_© (Mattar)|
wnMm †evmb KYv Kx ?
“A subatomic particle called the “God’s particle” or
Higgs boson Particle”.
“AwZ cvigvbweK
KYv‡K wnMm-†evmb KYv” ejv nq|
wnMm-‡evmb KYvi ZvwË¡K aviK Ò‡evm-AvBb÷vBb Kb‡Wb‡mUÓ Z‡Ë¡i
BwZK_vt
m‡Z¨›`ªbv_ emy, ঢাকা, বাংলাদেশ t m¨vi RMw`k P›`ª emy †hgb †eZvi hš¿ Avwe¯‹v‡ii
¯ncwZ, †Zgb wnMm ‡evmb ev AwZcvigvbweK KYvi Aw¯Z‡Z¡i aviYvi †¶‡Î XvKv
wek¦we`¨vjq, evsjv‡`k Gi c`v_© weÁv‡bi wk¶K m‡Z¨›`ªbv_ emy wQ‡jb Ab¨Zg cw_K…Z
Ges Aci Rb n‡”Qb Rvg©vb weÁvbx AvjevU© AvB‡b÷vBb| Df‡qi †hŠ_ M‡elYvi djvdj-‡K
ejv nq Ò‡evm-AvBb÷vBb Kb‡Wb‡mUÓ-hvi Dci wfwËkxj AvR‡Ki wnMm-‡evmb ev MW''m
cvwU©‡Kj| G Kvi‡Y mv¤cÖwZKKv‡ji we‡k¦ mvov RvMv‡bv †h MWÕm cvwU©‡Kj ev
wnMm-‡evmb KYvi Avwe¯‹vi n‡q‡Q। তবে আবিস্কৃত এই
কণার একক bvgK n‡”Q Ò†evmb KYvÓ| m‡Z¨›`ªbv_ emy bv‡gi
†klvsk ÔemyÕ cwiewZ©Z bvgwU n‡”Q Ô†evmbÕ|
AvjevU© AvBb÷vBb,Rvg©vbxt 1879 mv‡j Rvg©vbxi ÔDjgÕ bvgK kn‡i AvB‡b÷vB‡bi Rb¥|
AveŸvi bvg †nig¨vb AvB‡b÷vBb| Kv‡Ri Aemi mg‡q 26 eQi eq‡m wZwb ¯nvb, mgq, e¯Íy,
gnvKl© I Av‡jv wb‡q wPšÍv-M‡elYv Ki‡Z wM‡q 1905 mv‡j wZwb ÒmgqÓ (UvBg wW‡jkb)
m¤c‡K© GK hyMvšZKix cÖeÜ cÖKvk K‡ib hvi bvg Òwe‡kl Av‡cw¶K ZË¡Ó ( Special theory
of relativity)| D³ cÖe‡Ü wZwb D‡j¬L K‡ib
†h, mgq (UvBg) G‡KK R‡bi Rb¨ G‡KK Ae¯nv‡b Ae¯nvb K‡i| Gi ci Av‡iv GKwU M‡elYvj×
cÖe‡Ü wZwb gZ cÖKvk K‡ib †h, Mass & Energy are rebound
up with one another A_©vr c`v_© Ges
kw³ c„_K bq eis Awfbœ| D‡j¬L¨, Av‡jvi MwZ‡Z `yÕ wU wecixZ gyLx †cÖvUb
ev AwZ cvigvYweK KYvi g‡a¨ msNl© NwU‡q weMe¨vs ev gnvRvMwZK we‡õviY cieZx©
Ae¯nvq wK wK m„wó n‡Z cv‡i Zv AvjevU© AvB‡b÷vBb w`we¨ Dcjw× Ki‡Zb| G DcjwׇZB
wbwnZ wQj AvR‡Ki mvov RvMv‡bv Avwe¯K…Z ÒwnMm ‡evmbÓ bvgK AwZcvigvbweK KYvwU|
wnMm-‡evmb KYv Avwe¯‹v‡ii BwZK_vt
ÒwnMm&-‡evmbÓ নামক KYvটি weÁvbx‡`i
Kv‡Q GKwU ÒnvB-†cv‡mwUK¨vjÓ KwYKv wn‡m‡e we‡ewPZ wQj| c`v_© weÁv‡bi we‡kl
w_Iix standard model †_‡K weÁvbxiv G KYv m¤ú‡K© সম্যক aviYv cvb| সাধারণতঃ wnMm-†evm‡bi fi 125 †_‡K 126 Ges G KwYKvi w¯úb n‡”Q
k~Y¨| wnMm-‡evmb KYv‡K ejv nq mycvi wm‡gwUªK (super cemetric) c`v_© hv-m„wói ïiæi
mgqKvi cÖv_wgK KwYKv|
Aa¨vcK wcUvi wnMm কর্তৃক বস্তু/পদার্থের f‡ii Drm সম্পর্কে wnMm-‡evmন কণার বৈজ্ঞানিক e¨vL¨v
wnMm-‡evm‡bi AwPšÍ¨bxq ¸iæZ¡,
f~wgKv I Ae`vb Ges Gi mÜv‡b weÁvbx‡`i cÖ‡Póv Ask wnmv‡e 1964 mv‡j GwWbeiv
wek¦we`¨vj‡qi Aa¨vcK wcUvi wnMm বস্তু/পদার্থের f‡ii Drm wn‡m‡e wnMm-‡evm‡bi বৈজ্ঞানিক e¨vL¨v প্রদান K‡ib| wZwb e‡jb, Avgiv GKUv AvVv‡jv e¨vK MÖvDÛ †¶‡Îi K_v
fve‡Z cvwi| KYv¸‡jv Gi ga¨ w`‡q hvIqvi mgq ficÖvß nq| Aek¨ Gi wcQ‡b cÖfveK
wn‡m‡e KvR K‡i GKwU NUK KYv|
†h cÖwµqvq wnMm-‡evmb কণার Aw¯ÍZ¡ cÖgvwYZ n‡jv
ÔKYvÕ(PARTICLE) m¤úwK©Z MvwYwZK g‡W‡ji (mathmatical model) m~Îg‡Z, D”P MwZ‡Z
†cÖvU‡bi m‡½ †cÖvU‡bi AvšÍtmsNl© NUv‡bv n‡j †ek wKQz †gŠwjK KYv Drcbœ nq| সেমতে, CERN Gi jvR©
n¨vWªb †KvjvBWvi h‡ন্ত্র D”P MwZ‡Z
†cÖvU‡bi m‡½ †cÖvU‡bi AvšÍtmsNl© ঘটিয়ে †ek wKQz †gŠwjK KYv Drপাদন করা nq। উৎপাদিত এই
মৌলিক কণা-কে বলা হয় ÒwnMm&-‡evmbÓ কণা।
D‡jøL¨, Av‡jvi MwZ‡Z `yÕwU
wecixZ gyLx †cÖvUb ev AwZ cvigvYweK KYvi g‡a¨ msNl© NwU‡q weMe¨vs ev gnvRvMwZK
we‡ùviY cieZx© Ae¯’vq wK wK m„wó n‡Z cv‡i Zv AvjevU© AvBb÷vBb Av‡MB e‡j hvb|
wnMm-‡evmb কণা'র Aw¯ÍZ¡ cÖgvণে CERN Gi বিপুল আয়োজন
c`v_©we`iv wek¦vm K‡ib †h,
inm¨gq wnMm-‡evm‡bi m‡½ msN‡l© wewfbœ gvÎvi fরের (Mass) Rb¥ nq| c`v_©
weÁv‡bi G msµvšÍ †ek wKQz cÖkœ‡K mvg‡b †i‡L 1971 mvj †_‡K KYvZ¡iY hš¿ jvR©
n¨vWªb KjvBWv‡i ev¯Íe cÖgv‡Yi D‡`¨vM †bqv nq | Z‡e 2008 mvj †_‡K GB KjvBWv‡ii
Kvh©µg AvbyôvwbKfv‡e ïiæ nq|wecyj kw³m¤úbœ AwZ cvigvYweK KYvi Rb¥-ZË¡ Avwe¯‹vi Ki‡Z CERN Av‡qvRb K‡iwQj wekvj AvKv‡ii
gnvcwiKíbv| GB cix¶v gvbe BwZnv‡m ïay ¸iæZ¡c~Y©B bq; e¨q eûjI e‡U| cÖv°wjZ e¨q
ZrKvjxb cÖvq 500†KvwU cvDÛ Ges Zv‡Z Dc¯nvwcZ n‡q‡Q AšÍZt 60,000 (lvU nvRvi)
Kw¤cDUvi|
wnMm-‡evmb কণার নির্ভুল Aw¯ÍZ¡
cÖgvণে CERN Gi সর্বোচ্চ সতর্কতা
বস্তু-পদার্থজাত বিশ্ব সৃষ্টির
নির্ভুল ও অভিন্ন রহস্য বা উৎসমূল আবিস্কারের মহৎ লক্ষ্যে বতমান বিশ্বের শীষ স্থানীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র CERN কর্তৃক বিশ্বের খ্যাতনামা weÁvbx‡`i-কে যথাক্রমে (১) a toroidal lhc apparatus (atlas) এবং (২) compact
muon solenoid (cms) নামক দু'টি দলে বিভক্ত করা হয়। সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় একদল-কে ‡R‡bfv Ges অপর দল-কে jÛনে নিয়োজিত করা হয়েছিল যাতে উভয় দল একে অপরের কার্যক্রম সম্পর্কে যেন
বিন্দুমাত্র অবহিত না হয়। উদ্দ্যেশ্যঃ নির্ভুলভাবে অভিন্ন ফলাফল লাভ করে। অবশেষে Dfq `j বিশাল
দূরত্বে (জেনেভা হতে লন্ডন) অবস্থান করে কোন প্রকার পূব যোগাযোগ ব্যতিরেকে একই সঙ্গে GKB djvd‡j DcbxZ nq এবং CERN কর্তৃপক্ষ 2012 mv‡ji 4Vv RyjvB, eyaevi এক জনাকীর্ণ
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববাসীকে এ মমে বিজ্ঞাপিত করে যে, ÷¨vÛvW© g‡W‡j m¦xK…Z 12Zg ÒwnMm-‡evmb bvgK eûj cÖZ¨vwkZ
†gŠwjK KYviwUi mÜvb পাওয়া গেছে।
Bmjvgx m„wó Z‡Ë¡i BwZK_vt
ÒwZwb gnvন m«óv, me©Á|Ó ( m~ivn& Bqvmx-b)
ÒAvIqv jvBmvj& jvhx
L^jvK¡vm mvgv-Iqv-wZ Iqvj Avi&Øv weK¡v- w`wib&Ó (m~iv- Bqv-mx-b
AvqvZ: 81)
A_©t ÒAvwg gnvwek¦‡K m„wó
K‡iwQ Avgvi kw³-¶gZve‡j Ó(m~iv Avh& hvwiqvZ, AvqvZt 47)|
ÒwZwbB mwVKfv‡e b‡fvgÛj I
f~gÛj m„wó K‡i‡Qb|Ó (m~iv AvbAvÕgt AvqvZ 73) |
ÒBbœvgv-Avgiyn~-Bhv-Aviv-`v
kvBAvb& AvBu BqvK~jv jvû Kzb& dvBqvK~bÓ
A_©t ÒwZwb hLb †Kvb wKQz
Ki‡Z B”Qv K‡ib, ZLb Zv‡K †Kej e‡j †`b ÔnIÕ ZLbB Zv n‡q hvqÓ | (m~iv
Bqv-mx-b : AvqvZ- 82)
Òwek¦ ewj‡Z c~‡e© wKQyB wQjbvÓ
| (dvIqv‡q wmwÏKxb, 1g LÛ, c„ôvt 74, KziAvb nv`xm wimvP© †m›Uvi (dzidzivi
M‡elYv cÖwZôvb), cÖKvkbvqt Bkvqv‡Z Bmjvg, KzZyeLvbv, gvK©v‡R Bkvqv‡Z Bmjvg,
2/2, `viæm mvjvg, gxicyi, XvKv-1216), cÖKvkKvjt mvevb-1420wnRwi, b‡f¤ei 1999
Cmvqx) Ò†MvUv m„wóK~‡ji g‡a¨ Avjøvn ZvAvjvi Kzb dv Bqv Kz‡bi ZvRvjøxB
weivRgvbÓ (cÖv¸³ c„t 38)|
ÒAvmgvb-hgxb, Avik Kzimx
jvIn-Kjg, MvQ cvjv, e„¶ jZv, GK K_vq `„k¨gvb I A`„k¨ hZ wKQy i‡q‡Q Òme wKQyB
m„wó K‡i‡Qb gnvb AvjøvnÓ (cÖv¸³ c„t 33)|
ÒAvjøvn Zvqvjv mgmÍ e¯Íy‡K
c~e© Dcv`vb e¨ZxZ m„wó K‡i‡QbÓ (cÖv¸³ c„t 162)|
(Avj¬vncvK) Òwe‡kl gyQ‡jnv‡Zi
Kvi‡Y cÖ_‡g webv Dcv`v‡b DcKi‡Y m„wó K‡i, †mB me Dcv`v‡bi gva¨‡g wewfbœ e¯Ë
m„wó Kivi e¨e¯nv Pvjy K‡i‡QbÓ(m~Ît dvZvIqv‡q wmwÏKxb, 1-4 LÛ, c„ôv 163)|
D‡jøL¨, GK mgq †KejB Avj¬vn (ﺎﻠﻠﻪ)
Avi Avj¬vn-B wQ‡jb| gnvb Avj¬vn e¨wZZ m„wó (ﻣﺨﻟﻖ)
mZ¡vi †Kvb Aw¯ÍZ¡ KLbB wQj bv| †Kvb GK gnvmwܶ‡Y Avj¬vncvK Zvui
Kz`iwZ GK gnvcwiKíbvi (Master Plan) Aax‡b ÔKzbÕ n‡q hvIÔÕ- GB Kz`iwZ Av‡`k ev ûKzge‡j
m¤c~Y© ÔbvBÕ (Nil/Zero) †_‡K †Kvb cÖKvi RvMwZK ZË¡, m~Î, AvBb-Kvbyb,
wewa-weavb †_‡K m¤c~Y© cyZtcweÎ (myenvb) Ges Awbf©ikxj(m¦gv`) n‡q m„wó
Ki‡jb GK gnvm„wó mZ¡v (Great Creation ev ﻣﺨﻟﻖ)-hv‡Z
mw¤§wjZfv‡e (Combindly) wbwnZ
wQj AvKvk/gnvKvk[(ﺍﻠﺴﺎﻮﺍﺕ)(Sky)] I Rwgb [ﻼﻠﺭﺽ (Earth) (c„w_ex) ] Avevi †Kvb GK we‡kl gyû‡Z© Zv c…_K
K‡i AvR‡Ki Avmgvb I Rwgb-GB `yÕwU c…_K mZ¦v m…wó K‡i‡Qb| G
cÖm‡½ Avj¬vn cvK Avj †KviAv‡bi m~iv Avj-Avw¤^qvi 30bs Avqv‡Z
digvb, Awek¦vmxiv wK †f‡e †`‡Lbv †h,
AvKvkgÛjx I c…w_ex IZ‡cÖvZfv‡e wg‡k wQj, AZtci Avwg Dfq‡K c…_K K‡i w`jvg|
(Qnxn ‡KviAvb kixdt Zvdmxi
Beby Kvmxi I Zvdmx‡i Avkivdx, c…óv 353)
GB c„_KxKi‡Yi gyûZ©wU‡KB Lye
m¤¢eZt ˆeÁvwbK cwifvlvq ejv n‡”Q Ôgnvwe‡ùviYÕ (Big Bang)| D‡j¬L¨ †h, gnvwe‡ùvi‡Yi ci AvKvkgÛjxi G Ae¯’v‡K m~iv
nv-wgg-Avm&- wmR`vÕi 11bs Avqv‡Z Ô`yLvbÕ bv‡g AwfwnZ
K‡i Avj¬vn cvK digvb: ÒAZtci wZwb Avmgv‡bi w`‡K g‡bvwb‡ek Ki‡jb, hv
wQj aygªKzÄ|Ó (cweÎ †KviAvbyj Kixgt Zdmxi gvAv‡idzj †K¡viAvb, c„ôvt
1294)| D³ Avqv‡Zi e¨vL¨v wbgœiƒc :
(1) eqvbyj †KviAv‡b nhiZ gvIjvbv Avkivd Avjx _vbfx (রহিমাহুল্লাহ) e‡jbt Avgvi g‡b nq †h, cÖ_‡g c„w_exi DcKiY m„wRZ n‡q‡Q| GgZve¯nvq aygªK‡zÄi AvKv‡i AvKv‡ki DcKiY wbwg©Z n‡q‡Q| Gici c„w_ex‡K eZ©gvb AvKv‡i we¯Í„Z Kiv n‡q‡Q Ges G‡Z ce©Zgvjv, e„¶ BZ¨vw` m„wó Kiv n‡q‡Q| Gici AvKv‡ki Zij aygªK‡zÄi DcKiY‡K mß AvKv‡k cwiYZ Kiv n‡q‡Q| (cweÎ †KviAvbyj Kixgt Zdmxi gvAv‡idzj †K¡viAvb, c„ôvt 1199-1200)
(1) eqvbyj †KviAv‡b nhiZ gvIjvbv Avkivd Avjx _vbfx (রহিমাহুল্লাহ) e‡jbt Avgvi g‡b nq †h, cÖ_‡g c„w_exi DcKiY m„wRZ n‡q‡Q| GgZve¯nvq aygªK‡zÄi AvKv‡i AvKv‡ki DcKiY wbwg©Z n‡q‡Q| Gici c„w_ex‡K eZ©gvb AvKv‡i we¯Í„Z Kiv n‡q‡Q Ges G‡Z ce©Zgvjv, e„¶ BZ¨vw` m„wó Kiv n‡q‡Q| Gici AvKv‡ki Zij aygªK‡zÄi DcKiY‡K mß AvKv‡k cwiYZ Kiv n‡q‡Q| (cweÎ †KviAvbyj Kixgt Zdmxi gvAv‡idzj †K¡viAvb, c„ôvt 1199-1200)
(২) ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦
RMr Avw`‡Z wQj GKwU wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó
†MvjK-hv‡K `yLvb ejv n‡q‡Q| GB `yLvb n‡jv ¯Zi wewkó Ggb GK M¨vm RvZxq c`v_© hv
w¯’ifv‡e Szjv‡bv Ges hvi g‡a¨ my²vwZmy² AYy KYv D”PZi ev wbgœZi Pv‡ci `iyY KLbI
KwVb, GgbwK KLbI ev Zij Ae¯’vq we`¨gvb ..........| gnvKv‡ji wewfbœ ch©v‡q †mB
gnvwcÛwU LÛ weLÛ n‡q ˆZix n‡q‡Q GK GKwU bxnvwiKv ev Qvqvc_ Ges †mB me Qvqvc_
m~‡h©i gZ †KvwU †KvwU b¶Î wb‡q GKUv GKUv c„_K RMr iƒ‡c gnvk~‡Y¨ mÂvigvb| Avw`
M¨vmxq wc‡Ûi LÛ weLÛ n‡q cov wekvjKvi UzKiv¸wj Kvjµ‡g Avevi GKxfyZ n‡q m~‡h©i
gZ GK GKwU b¶Î m„wó K‡i‡Q ...... weÁvb ej‡Q, wek¦ m„wói Avw`‡Z wQj ÔbxnvwiKvÕ
ev Ô†beyjvÕ hv g~jZt M¨vmxq aygªwcÛ Gi Abyiƒc| KziAvbI ej‡Q, wek¦ m„wói Avw`
ch©v‡q wQj GKwU GKxfyZ aygªKzÛjx| †`Lv hv‡”Q, wek¦ m„wó m¤ú‡K© KziAv‡bi e³e¨
weÁv‡bi Avwe¯‹…Z Z‡_¨i mv‡_ m¤ú~Y© mvgÄm¨c~Y©|Ó {m~Î: Kw¤úDUvi I
Avj-KziAvb, c„ôv 59 I 60 : Wvt L›`Kvi Ave`yj gvbœvb, Gg.we.we.Gm (XvKv),
KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi(dzidziv `iev‡ii M‡elYv cÖwZôvb), Bkvqv‡Z Bmjvg
KzZzeLvbv, `viæm mvjvg, gxicyi, XvKv-1216}
Bmjvg I cigvY~ev`
وَقَالَ الَّذِينَ
كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ قُلْ بَلَى وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ
عَالِمِ الْغَيْبِ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ
وَلَا أَصْغَرُ مِنْ ذَلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ (m~ivn& mvev, AvqvZt 3)|
A_©t Ò“কাফেররা বলে আমাদের উপর (কখনো) কেয়ামত আসবে না।
বলুন, কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার
শপথ-অবশ্যই আসবে।
wZwb A`„k¨ m¤¦‡Ü cwiÁvZ,
AvKvkgÛjx I c„w_ex‡Z AYy cwigvY wKQy wKsev Z`‡c¶v ¶y`ª A_ev e„nr wKQy hvui
A‡MvPi bq; Ii cÖ‡Z¨KwU my¯úó Mª‡š’ wjwce×|Ó (m~ivn& mvev, AvqvZt 3)|
ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦ RMr Avw`‡Z
wQj GKwU wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó
†MvjK|Ó (m~Î: Kw¤úDUvi I Avj-KziAvb,
KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi, Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv, `viæm&
mvjvg, XvKv)|
Òwek¦ m„wó m¤c‡K© Avn‡j
mybœvZ Iqvj Rvgvqv‡Zi AbymvixMY cigvYyev‡`i mg_©KÓ (m~Ît Avn‡j mybœvZ Iqvj
Rvgvqv‡Zi AvwK`vt d‡Zn& Avjx †gvnvg¥` AvqvZyj¬vn& wmwÏKx Avj& †KvivBkx,
†b`v‡q Bmjvg, el©t 73, msL¨v-6, gniig-mdi 1435 wnt wW‡m¤ei-2013,
c„ôv-40)|
Gevi mycviwm‡gwUªK KYv!
Avkv Kiv n‡”Q, mycvi wm‡gwUªK
KYv mwZ¨Kvifv‡e mbv³ Kiv †M‡j weÁvbxiv mivmwi WvK© g¨vUvi m¤c‡K© aviYv wb‡q
gnvwe‡k¦i ARvbv inm¨¸wji mgvav‡b M‡elKiv A‡bK `~i GwM‡q †h‡Z m¶g n‡eb| American
Association for the Advancement of Science, University of
California-Barkle Gi GK M‡elK Rvbvb, MZ
kZvãxi ïiæ‡Z Gw›Ug¨vUvi Lyu‡R cvIqvi g‡Zv Zviv bZyb GK `ywbqv †c‡Z hv‡”Qb| Avi
Zv †c‡Z cv‡i wnMm-‡evmb KYvi PvB‡ZI PvÂj¨ m„wóKvix mycvi wm‡gwUªK
g¨vUvi Avwe¯‹v‡ii ga¨ w`‡q| Avgv‡`i Av¯nv I wek¦vm, eZ©gvb cÖPwjZ AvaywbK weÁvb
I cÖhyw³ hv‡K School Thought of Science ejv n‡q _v‡K Z`¯n‡j cÖ‡ek Ki‡Z n‡e Kw_Z bZzb †h `ywbqvi
K_v ejv n‡”Q Zv Avm‡j Fronteer Science e¨wZZ Avi wKQz bq|
Gevi M‡elYv
†nvK কবর wR‡›`Mxi ARvbv K_v!
"কুল্লু নাফসিন
যাইক্বাতুল মাউত” অর্থঃ "প্রত্যেক
প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে"। সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫। .
cÖwZwU cÖvYx‡K
g„Zy¨i m¦v` MªnY Ki‡Z n‡e-G n‡”Q Avjøvn cv‡Ki m„wó Z‡Ë¡i wPišÍb weavb| G‡Z
Awek¦vmxivI wek¦vm K‡i _v‡K ïay Zv-B bq; evc-`v`vi g‡Zv ZvivI g„Zy¨i m¦v` MªnY
K‡i cÖgvY K‡i _v‡K Gi mZ¨Zv| GZKvj GZw`b gvwUi Dc‡ii hZme M‡elYv| G‡Z Avmgvb
Rwg‡bi Av‡M wK wQj ZviI nw`m weÁvbxiv jvf K‡i‡Qb| Gi Av‡M †K wQ‡jb-ïay GBUzKzb
Rvb‡jI gvbeRvwZi mZ¨ †_‡K mZ¨všÍi ‡cwi‡q gnvm‡Z¨ †cŠuQvi cÖvYvšÍKi cÖqvm
cÖ‡Póvi wPi Aemvb m¤fe n‡e| Gi ci Riæix n‡”Q, gvwUi bx‡Pi wR‡›`Mxi Ae¯nv m¤ú‡K©
M‡elYv|Aek¨, weÁvbxiv BwZg‡a¨ G e¨vcv‡i bZzb `ywbqvi bZzb msev` Gi †NvlYv
w`‡q‡Q d«w›Uqvi mv‡q‡Ýi bv‡g| Avkv Kwi, G‡Z g…Zz¨i ci Av‡Lix wR‡›`Mxi সূচক হচ্ছে কবর
জিন্দেগী যার অবসান ঘটবে কোন একদিন কবর থেকে কিয়াম অর্থাৎ জীবিত হয়ে দাঁড়িয়ে উঠার
মধ্য দিয়ে আর সূচনা হবে পরকালীন জিন্দেগীর। কবর থেকে দাঁড়িয়ে উঠাকে শরিয়তে ইসলামে
বলা হয় কিয়ামাহ বা কিয়ামাত।
ÒG gvwU
†_‡KB Avwg †Zvgv‡`i m„Rb K‡iwQ, G‡ZB †Zvgv‡`i†K wdwi‡q w`e Ges cybivq G
†_‡KB Avwg †Zvgv‡`i‡K DwÌZ Kie|Ó| (m~iv Z¡nv, AvqvZ-55)
অবিশ্বাসীরা wek¦vm Ki‡Z Pvq bv-g„Zy¨i ci Avevi RxweZ nIqvi AvwK`v-wek¦vm|
Awek¦vmxiv G cÖm‡½ hv e‡j Zv Ges Zvi DËi AvjøvncvK m¦qs Zvui Kvjvgyjøvn kix‡d
AwZ my›`ifv‡e Zy‡j a‡i‡Qb GB e‡jt
Ò‡m e‡j, †K RxweZ Ki‡e Aw¯nmg~n‡K hLb †m¸‡jv cu‡P M‡j hv‡e? ejyb; whwb cÖ_gevi †m¸‡jv‡K m„wó K‡i‡Qb, wZwbB RxweZ Ki‡eb| wZwb me© cÖKvi m„wó m¤c‡K© mg¨K AeMZÓ| (m~ivn& Bqv-mx-b, AvqvZ 78-79)
Ò‡m e‡j, †K RxweZ Ki‡e Aw¯nmg~n‡K hLb †m¸‡jv cu‡P M‡j hv‡e? ejyb; whwb cÖ_gevi †m¸‡jv‡K m„wó K‡i‡Qb, wZwbB RxweZ Ki‡eb| wZwb me© cÖKvi m„wó m¤c‡K© mg¨K AeMZÓ| (m~ivn& Bqv-mx-b, AvqvZ 78-79)
Ògvbyl wK g‡b K‡i †h,
Avwg Zvi Aw¯nmg~n GKwÎZ Ki‡ev bv? cišË Avwg Zvi Avs¸j¸‡jv ch©šÍ mwVKfv‡e
mwbœ‡ewkZ Ki‡Z m¶g| Ó| (m~ivn& Avj †K¡qvgvn&-AvqvZ-3-4)
ÒGes G Kvi‡Y †h, †KqvgZ Aek¨¤¢vex, G‡Z m‡›`n †bB Ges G Kvi‡Y †h, Ke‡i hviv Av‡Q, Avjøvn Zv‡`i‡K cybiæwÌZ Ki‡eb|Ó| (m~iv nv¾, AvqvZ-07t cweÎ †KviAvbyj Kixg, g~jt Zvdmxi gvAv‡idzj †K¡viAvb)
Ògvby‡li †`‡ni mewKQy RivRxY© n‡q hv‡e| wKš‘ wbZ‡¤ei †kl nvo (w·KvYvw¯n) bó nq bv| gvbyl‡K Zvi mv‡_ web¨vm Kiv n‡e| Gici Avj¬vn e„wó el©Y Ki‡eb| d‡j gvbyl Dw™¢‡`i g‡Zv MwR‡q DV‡eÓ| (eyLvix, gymwjg-wiqv`ym& mv‡jnxb, nvw`m bs- 1836, 4_© LÛ)
nhiZ Avey
ûivqiv ivwØqvjøvû AvÔbû †_‡K ewY©Z gnvbex mvjøvjøvû ÔAvjvBwn Iqv mvjøvg e‡j‡Qb,
Av`g mšZv‡bi kix‡i Ggb GKwU Aw¯n Av‡Q †hwU gvwU‡Z KL‡bv wg‡k hv‡e bv| (cÖkœ Kiv
n‡jv) †n Avj¬vni im~j! GwU Kx ? wZwb ej‡jbt GwU n‡jv Dm&Dm&
(Aw¯n)| (eyLvix, Avj bvmvqx, Avey `vD`, Be‡b gvRvn, gymbv` Ges gyqvËv)| হাঁড়
cÖm½Z D‡jøL¨ †h,
wbZ‡¤ei GB nvuowU‡K Bs‡iRx‡Z e‡j Coccyx Ges Aviex‡Z Dm&Dm& Ges evsjvq Aw¯n (w·KvYvw¯n) ejv
nq| bvf©vm wm‡÷‡gi cÖvšZ aviK wnmv‡eAw¯n ev w·KvYvw¯ni ¸iæZ¡ i‡q‡Q,
GLv‡b †h †cøqv· i‡q‡Q Zv‡K ejv nq Òg~jvavi"| fwel¨‡Zi
kixi-weÁvb Avwe¯Kvi Ki‡e Gi Dc‡hvwMZvi Av‡iv Z_¨ (m~Ît weÁvb, mbvZb ag©,
wek¦mf¨Zv-4_© Aa¨vqt ‡Mveשb †Mvcvj`vm, fviZ, m~Ît mvßvwnK †mvbvi evsjv)|
D‡jøL¨, cix¶v‡šÍ †`Lv hvq †h, wW¤e‡Kv‡li mv‡_ ïµKx‡Ui wbwl³ nIqvi 2 mßvn c‡i "Dm&Dm&" bvgK k³ হাঁড়ের Rb¥ nq। 3q mßv‡n‡ii ci GB nvo †_‡K
GKwU j¤ev `Û ‰Zix nq Zv cieZx©‡Z †giæ`‡Ûi হাঁড় ‰Zix K‡i Ges ax‡i a‡i c~Y©v½ gvbe †`n ‰Zix n‡Z _v‡K| 15 w`e‡m
åæ‡Yi c„ô†`‡k Gi cÖv_wgK ¸Yv¸Y ev ag© cwijw¶Z nq GKwU wbw`©ó cÖv‡šZ hvi bvg
cÖv_wgK ms‡hvM¯nj| †hw`‡K cÖv_wgK ¸Yv¸Y/ag© cÖKvwkZ nq Zv‡K ejv nq å‡Yi c„ô‡`k|
cÖv_wgK ¸Yv¸Y Ges ms‡hvM¯nj †_‡K †h mKj åæY †Kvl Ges A½-cÖZ¨½ wbgœwjwLZfv‡e
MwVZ nqt
১) Ectoderm (åæ‡Yi ewniveiY) t †K›`ªxq †ckx I Pg© Øviv MwVZ|
২) Mesoderm (åæ‡Yi ga¨KiY)t cvPbZš¿ MV‡b gš’b †ckx, KsKvjZ‡š¿i †ckx,
msenbZš¿, ü`hš¿, Aw¯n, cÖRbb Ges g~ÎZš¿ MVb(g~Îvkq e¨wZZ), Z¡Kwbgœ¯n †Kvl,
bvwmKvZš¿, cxnv Ges g~ÎMªwš’ G ch©v‡q MwVZ nq|
৩) Endoderm (AšZtZ¡K)t cvPbZ‡š¿i mxgv‡iLv,
k¦mbZš¿, cvPbZš¿ m¤cwK©Z A½cÖZ¨½ (hK…Z I AMœ¨vkq e¨ZxZ), g~Îvkq, m¦iZš¿
BZ¨vw` G ch©v‡q MwVZ nq| Zvici cÖv_wgK ¸Yv¸Y/ag© Ges ms‡hvM¯nj wbZ‡¤ei
w·KvYvKvi Aw¯n GjvKvq Ae¯nvb K‡i †giæ`‡Ûi †k‡l hv‡Z Coccyx MwVZ
nq| Coccyx†h mKj gvbe †Kv‡li g~‡j †Kvl enb K‡i, åæY MVbcÖYvjx Zvi GKwU
cÖgvY|
cÖv_wgK ¸Yv¸Y Ges ms‡hvM¯nj †_‡K åæY MwVZ nIqvi ci †mMywj †giæ`‡Ûi me©‡kl
(Aw¯n‡Z Ae¯nvb K‡i Ges Zv‡`i ‰ewkó¨mg~n aviY K‡i| myZivs, w·KvYvw¯n aviY K‡i
g~j †Kvlmg~n Ges hv gnvbex mvjøvjøvû ÔAvjvBwn Iqv mvjøvg Gi ewY©Z "Dm&Dস্" †_‡K wKqvg‡Z
gvbeRvwZi cybiæÌvb m¤c‡K© cÖgvY enb K‡i| Coccyx †_‡K gvbe RvwZ‡K cybivq m„wó Kiv m¤¢e hv cÖv_wgK
¸Yv¸Y/‰ewkó¨ aviY K‡i| ZvB Coccyx ¶qcÖvß n‡Z cv‡i bv|
মুসলিম বিজ্ঞানীদ্বয়ের গবেষণায় পবিত্র
হাদীস বর্ণিত 'উস্উস্' Coccyx (Aw¯n) এর বাস্তবতা
বিশিষ্ট
মুসলিম গবেষক জনাব Wt Imgvb Avj wRjvbx Ges †kL
Ave`-Avj gvwR` AvRvb`vwb 1423 mv‡ji gv‡n igv`v‡b Coccyx Gi Ici M‡elYv Pvjvb †kL mv‡n‡ei evwo‡Z e‡m| 5wU Coccyx (Aw¯n) এi 2wUi g‡a¨ 1wU †gi“`‡Ûi Aw¯n 10 wgwbU a‡i GKwU cv_‡ii Ici
M¨v‡mi mvnv‡h¨ †cvov‡bv n‡j †m¸wj Dßß †jvnv †hiƒc jvj eY© jvf K‡i †Zgwb Aw¯n¸wj
cÖ_‡g jvj eY© aviY K‡i c‡i kxZj n‡q Kv‡jv eY©-G A_©vr Kqjvq cwiYZ n‡j H Aw¯ni
Kqjv¸wj‡K RxevYygy³ e‡·i g‡a¨ cy‡i mvbvi me‡P‡q weL¨vZ Laboratory-Al-Olaki-Laboratory-‡Z wb‡q †M‡j mvbv wek¦we`¨vj‡qi Histology I Pathology Z‡ত্ত্বর Aa¨vcK| wZwb
fwm¥f~Z Aw¯n¸wj we‡klY K‡i †`L‡jb †h, Av¸‡b Aw¯n‡Kvl¸wj eo ai‡bi cÖfv‡e c‡owb
A_©vr †Kej ¯n~j †Kvl¸wj cy‡o †M‡jI Coccyx (Dm&Dm& ev k³ nuvo) RxešZ i‡q‡Q |
(mye&nvbvj¬vvwn Iqvwenvg&w`wn mye&nvbvj¬vwnj& AvÕRxg)|
w_Imwd
`k©b kv‡¯¿i GKwU kvLv, w`e¨Ávb m¤cwK©Z `k©b| w_Imwd wk¶v †`q †h, cï I me e¯Íymn
me gvbyl I cÖvwYmË¡v ev AiMvwbRg cÖevwnZ nq GKwU weï× Ava¨vwZ¥K MVb †_‡K Ges
cieZx© mg‡q gnvRvMwZK RxebPµ †k‡l Zv Avevi wd‡i Av‡m cig mË¡vi Kv‡Q|
iæk `vk©wbK I
AKvwj÷ †n‡jbv i¨v‡fUw¯‹ 1889 mv‡j cÖKvwkZ The Key to
Theosophy নামক eB‡Z wj‡L‡Qbt Avgiv evm
Kwi এমন GKwU gnvRvMwZK অদৃশ্য bxwZi Ici-hv mevi †kKo বা মূল এবং hv †_‡K mবাই mvg‡b ev‡o Ges cÖvYxi gnvPµ
†k‡l Avবার Gi g‡a¨B wd‡i Avm‡e|
(m~Ît †MªU AvBwWqvRt D™¢eev`, bqvw`Mন্ত,XvKv,বাংলাদেশ)| ‰eÁvwbK
fvlvq Gi bvg Faze Transition. এ প্রসঙ্গে
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালার এরশাদঃ.
انا لله وانا اليه راجعون
(অর্থ):আমরা আল্লাহর (সৃষ্টি)
এবং নিশ্চয় আল্লাহ্রর কাছেই আমরা ফিরে যাব।
উল্লেখ্য,
মহান আল্লাহতায়া'লা আমাদেরকে অপরাপর সৃষ্ট জীবের মতই সম্পূর্ণ
অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে সৃষ্টি করেছেন, আবার মৃত্যুর পর কবর জিন্দেগীতে দৈহিকভাবে
অস্তিত্বহীন করে দেবেন-শুধু "উস্উস্" নামক হাঁড়ের
ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম একটি অণু কণার অস্তিত্ব বজায় রাখবেন-যাতে আমরা কেয়ামতের পর
ঐ হাঁড়কণা-তে বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে বীজ থেকে চারা গজানোর মত আবার স্ব-অস্তিত্বে
ফিরে যেতে পারি। এই অস্তিত্বে ফিরে যাওয়াকে পবিত্র কুরআনে "আল্লাহতে ফিরে
যাওয়া" বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য Òeû As‡ki GK‡Î mshy³ nIqv Z_v ms‡hvwRZ I mwg¥wjZ nIqv‡K
ZvivK&Kze ejv nq Ges wgwjZ iƒc‡K (wgwjত e¯Íy‡K) ‡gvZviv‡°e ejv nqÓ (cÖv¸³ c„t 97)|
ইসলামী বিজ্ঞান কি এবং কেন?
ইসলাম এবং বিজ্ঞান বলতে বুঝানো হয় ইসলাম ধর্ম ও তার অনুগামী মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্পর্ককে।[১]
মুসলিম উলামায়ে কেরাম কোরআনে বর্ণিত বিষয়গুলির সাথে
বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি মতবাদ তৈরি করেছেন । কোরআন মুসলমানদের প্রকৃতি
(Nature) অধ্যয়নের এবং সত্যের অনুসন্ধানে
অনুপ্রেরণা এবং উদ্দীপনা যোগায়। সাড়ে
সাতশত এর অধিক সংখ্যক আয়াত রয়েছে যাতে রয়েছে জ্ঞানবানদের জন্য আল্লাহর মারিফাত বা
পরিচিতি লাভের অপূর্ব সুযোগ।
মুসলিম সভ্যতার ধারক বাহকরূপে মধ্যযুগীয় আরব বিজ্ঞানীরা (যেমন
জাবের ইবনে হাইয়ান, ইবনে আল-হায়থাম,মূসা
অআল খাওয়ারিজমি, ইবনে সীনা, আলবিরুনী প্রমুখ) আধুনিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছিলেন।[৩][৪][৫] এই সত্য আজ বিশ্বে স্বীকৃত।
পর্যালোচনা
কুরআনে পাক বিশেষজ্ঞদের মতে, পবিত্র কোরআনের
প্রায় ৭৫০টি আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সরাসরি কুদরাতস্বরূপ সৃষ্ট আসমান এবং
জমিনে বিস্তৃত প্রাকৃতিক (Natural) বিষয়াবলী গভীর
জ্ঞান-প্রজ্ঞা-বিবেক বুদ্ধির মাধ্যমে অনুভব-উপলদ্বির উপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ
করেছেন।
সত্যের অনুসন্ধান কুরআনের মূল বার্তাগুলির
মধ্যে একটি। ঐতিহাসিক ইসলামি বিজ্ঞানী আল-বেরুনী এবং আল-বাট্টানী কুরআনের আয়াত থেকে
অনুপ্রেরণা প্রাপ্ত। মোহাম্মদ হাশিম কামালি বলেছেন যে,
"বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষামূলক
জ্ঞান এবং যুক্তিসম্মত" এমন প্রাথমিক সরঞ্জাম যা দিয়ে মানবজাতি নির্ধারিত
লক্ষ্য অর্জন করতে পারে যা কোরআনে বর্ণিত আছে।[৯] জিয়াউদ্দিন সরদার আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য মুসলমানদের
জন্য একটি মত তৈরি করেছিলেন, যা কোরআনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক
প্রপঞ্চের প্রতিফলন এবং প্রতিফলিত বিষয়গুলোর বেশি জোর দেয়।[১০]
"বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি" বলতে আজ
আমরা যা উপলদ্ধি করতে পারি তা প্রথমে মুসলিম বিজ্ঞানী "ইবনে আল-হায়থাম", আল-বেরুনী
প্রমুখ জগদ্বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানীদের সাহায্যে উন্নত হয়েছিল ।
দার্শনিক, কবি, ইসলামী চিন্তাবিদ
আল্লামা ডক্টর মুহম্মদ
ইকবাল পবিত্র কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানধর্মী
গবেষণা-কে যুক্তিসঙ্গত বলে বিবেচনা করেছেন।[১৮]
পদার্থবিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আবদুস সালাম বিশ্বাস করেন যে,
বিজ্ঞান মানবজাতিকে প্রকৃতি এবং
মহাবিশ্বের ব্যাপারে যে ধারণা দিয়েছে তাতে দ্বীন ইসলামের
সাথে দ্বন্দ্ব নেই বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ইসলামী সভ্যতার উন্নয়নের উৎস হিসাবে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে । প্রফেসর আবদুস সালাম
বিশেষ করে ইবনে আল-হায়থাম ও আল-বেরুনীকে হাইলাইটস করেছেন যারা গবেষণামূলক পরীক্ষা
পদ্ধতিটি চালু করেছিলেন, শুধু তাই নয় অ্যারিস্টটলের অবৈজ্ঞানিক
কিছু প্রভাব থেকে বিজ্ঞান-কে মুক্ত করেছিলেন এবং আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম দিয়েছিলেন ।
তাছাড়া আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম স্থপতি বিশিষ্ট
পদার্থ বিজ্ঞানী ডক্টর আবদুস সালাম (পাকিস্তান) অধিবিদ্যা (Spiritual Science)
এবং পদার্থবিদ্যা (Physics) এর মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য তৈরি করেছিলেন। বিশেষ করে অপর পদার্থবিদ
স্টিফেন হকিং-এর "creation from nothing" মতবাদের
উপর অধ্যাপক আবদুস সালাম ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্ব–কে প্রাধান্য দিতেন।
উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্মের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা, নীতি দর্শন ব্যবস্থা রয়েছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, কোরআন হল মানবজাতির জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ সার্বিক দিক নির্দেশনার জন্য সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ
হতে নাজিলকৃত শ্রেষ্ঠ দান-অবদান।
মুসলিম বিশ্বের পাঠ্য বিজ্ঞান
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির
ইতিহাসে, "মুসলিম
বিশ্বের বিজ্ঞান"
বলতে সাধারণতঃ অষ্টম এবং ষোড়শ শতকের মধ্যে আরব-অনারব নির্বিশেষে বায়তুল হিকমাহ
(বাগদাদ), মুসলিম শাসিত স্পেনের গ্রানাডায় অবস্থিত কর্ডোভার আল হেরা এবং মিসরের
কায়রোতে অবস্থিত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের চর্চিত
কোরঅআন-সূন্নাহ ভিত্তিক জ্ঞান-বিজ্ঞান-কে বুঝানো হয়ে থাকে। এই সময়কাল মধ্যযুগীয়
মুসলিম
বিজ্ঞানীদের স্বর্ণযুগ নামে পরিচিত । এটি "আরবি বিজ্ঞান" নামেও পরিচিত,
কারণ এই সময়ের অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক গ্রন্থই আরবি ভাষায় লিখিত ছিল,
যাকে ইসলামী সভ্যতার লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা বলা হয় । তবে সব বিজ্ঞানীই আরবীয়
ছিলেন না; যদিও তাঁদের
বিজ্ঞান চর্চার উর্বর ক্ষেত্র ছিল মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব।
প্রফেসর আবদুস সালাম, সুলতান বশির মাহমুদ, হোসেইন
নাসর প্রমুখ বিজ্ঞানমনস্করা আধুনিক বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কথা বিবেচনা করে
মুসলিম বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করে একটি আধুনিক পরীক্ষামূলক এবং পরিমাণগত পদ্ধতির
প্রবর্তন করেছিলেন । মধ্যযুগীয় মুসলমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী,
ভূগোলবিদ ও গণিতবিদগণ ইসলামী কিতাবাদির মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
দ্বীন ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান
একসময় বিশেষ করে মধ্যযুগে বিজ্ঞান এবং ধর্ম (ইসলাম) পরস্পর অবিভাজ্য, অবিচ্ছ্বেদ্য
বিষয় ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বস্তুবাদ, নিশ্চয়তাবাদ এবং বিবর্তনবাদের উত্থানের ফলে
ইসলামসহ বিশ্বের অপরাপর ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের আকাশ-পাতাল দূরত্বের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু তার স্থায়িত্ব সময়ের বিচারে বলা যায় সাময়িক। অতঃপর একসময় দ্বান্দ্বিক
যান্ত্রিক বস্তুবাদের বিপরীতে কোয়ান্টাম বল বিদ্যা, নিশ্চয়তাবাদের বিপরীতে
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তাবাদ এবং বিবর্তনবাদের বিপরীতে ডিএনএ আবিস্কার ইসলাম এবং
বিজ্ঞানের দূরত্ব দ্রুত কমে আসে। ফলে একসময় আধুনিক বিজ্ঞানের অধিকাংশ আবিষ্কার ও পবিত্র
কুরআন পরস্পর প্রায় সঙ্গতিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়টি আধুনিক
বিশ্বে ব্যাপক প্রচার লাভে পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা
পালনকারী হচ্ছেন ফরাসী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাঃ মরিস বুকাইলী, যিনি পবিত্র
কুরআনের গভীর অধ্যয়নের ফলস্বরূপ ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ নামক একটি বই লিখেছেন। এ বইয়ে তিনি প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ে প্রাপ্ত
বাইবেল ও কুরআনের বক্তব্য তুলনা করেছেন। চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণের পরে তাঁর
সিদ্ধান্ত হচ্ছে: “কেউ যদি নিরপেক্ষভাবে এবং
বৈজ্ঞানিক বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর (পবিত্র কুরআনের) বক্তব্যসমূহ
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চায়, তাহলে দেখতে পাবে যে, তা
আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তদুপরি
বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট বক্তব্য ও বাণীও সেখানে রয়েছে।
আধুনিক ভ্রুণতত্ব এবং ইসলাম
"ভ্রূণতত্ব" বলতে বুঝায়, মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্বে একেবারে
সূচনাকালে (Conceive)
মানুষের বিকাশ সম্পর্কিত বিদ্যা।
শুক্র সামান্য পরিমাণ তরল পদার্থ
পবিত্র কোরআন মজীদ কমপক্ষে ১১ জায়গায় মানুষকে নোতফাহ (শুক্র) থেকে সৃষ্টির
কথা বলেছে।‘নোতফাহ’ মানে
সামান্য পরিমাণ তরল পদার্থ বুঝায়। এ বিষয়ে কোরআন মজীদের নিম্নোক্ত সূরাহ ও আয়াতে
উল্লেখ এসেছেঃ২২:৫; ২৩:১৩;১৬:৪; ১৮:৩৭; ৩৫:১১; ৩৫:৭৭; ৪০:৬৭; ৫৩:৪৬; ৭৫:৩৭;৭৬:২; ৮০:১৯
সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞান একথা নিশ্চিত করেছে যে, গড়ে ৩ মিলিয়ন শুক্রকীট থেকে ১টি মাত্র শুক্রকীটই ডিম্বাশয় নিষিক্তকরণের জন্য দরকার হয়। এর অপর অর্থ হল উৎক্ষিপ্ত শুক্রকীটের ০.০০০০৩% অংশই কেবল নিষিক্ত করণের জন্য দরকার ।
সুলালাহ - তরল পদার্থের নির্যাস
মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি
করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।’সূরাহ আস সাজদাহ - ৮‘সুলালাহ’শব্দটির অর্থ হল,কোন জিনিসের নির্যাস।আমরা এখন জানি যে,মানুষের দেহে তৈরি কয়েক মিলিয়ন শুক্রকীট থেকে ডিমে প্রবেশকারী একটি মাত্র শুক্রকীটই নিষিক্ত করণের জন্য দরকার।সে কয়েক মিলিয়ন থেকে ১টি মাত্র শুক্রকীটকে কোরআন ‘সুলালাহ’হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সুলালাহ’শব্দের আরেকটি ভিন্ন অর্থ হল, তরল পদার্থ থেকে সুষম উপায়ে বের বরে আনা। তরল পদার্থ বলতে বুঝায়, শুক্রধারণকারী নারী-পুরুষের বীজ সম্পর্কিত পদার্থ।নিষিক্ত করণ প্রক্রিয়ার আওতায় ডিম ও শুক্রকে সুষম উপায়ে বের করে আনা হয়।
নোতফাতুন আমসাজ- মিশ্রিত তরল পদার্থ
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ‘আমরা মানুষকে মিশ্রিত নোতফা থেকে সৃষ্টি করেছি।সূরা দাহার -২
এখানে ব্যবহূত ‘নোতফাতুন আমসাজ’ এর অর্থ হল,মিশ্রিত তরল পদার্থ বলতে বুঝায় পুংলিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ জাতীয় উপাদান বা তরল পদার্থ। নারী ও পুরুষের শুক্র মিশ্রিত হওয়ার পর ভ্রূণ তখন পর্যন্ত নোতফা আকারেই বিদ্যমান থাকে। মিশ্র তরল পদার্থ বলতে শুক্রকীট জাতীয় তরল পদার্থকেও বুঝাতে পারে যা বিভিন্ন গ্রহ্নির নিঃসৃত রস থেকে এসে থাকে।
তাই ‘নোতফাতুন আমসাজ’মানে দাঁড়ায়,নারী ও পুরুষের ক্ষুদ্র পরিমাণ মিশ্র শুক্র এবং চারদিকের তরল পদার্থের অংশ বিশেষ।
লিঙ্গ নির্ধারণ
ভ্রূণের লিঙ্গ শুক্রের আকৃতি দ্বারা নির্ধারিত হয়, ডিম্বাণু দ্বারা নয়।শিশু পুরুষ লিঙ্গ বা স্ত্রী লিঙ্গ যাই হোক না কেন তা
নির্ভর করে xx অথবা xy জাতীয় ৩৩ জোড়া
ক্রমোজমের উপর।যদি x বহনকারী শুক্র হয়,তাহলে, ভ্রূণ হবে স্ত্রীলিঙ্গ এবং যদি তা y বহনকারী শুক্র
হয়, তাহলে, ভ্রূণ হবে পুংলিঙ্গ। এ
মর্মে আল্লাহ বলেনঃ‘এবং তিনিই সুষ্টি করেন যুগল পুরুষ ও নারী। এক বিন্দু বীর্য থেকে যখন স্থলিত করা হয়।সূরা নাজম ৪৫-৪৬
আল্লাহ আরো বলেনঃ
“সে কি স্থলিত বীর্য ছিলনা? অতঃপর সে ছিল রক্তপিণ্ড,অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী।” -সূরা কেয়ামাহ - ৩৭-৩৯
এখানে পূনরায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এক ফোঁটা শুক্র যা (আরবী) পুরুষ থেকে নির্গত ও নিক্ষিপ্ত হয় সেটাই ভ্রণের লিঙ্গ নির্ধারন করে ।
ভ্রূণ অন্ধকারের তিন পর্দার আড়ালে সুসংরক্ষিত
মহান কুদরতে অধিকারী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন‘তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে।সূরা আয যুমার -৬
অধ্যাপক কেইথ মুরের মতে, কোরআনে উল্লেখিত অন্ধকারের তিনটি পর্দা বলতে বুঝায়ঃ
১। মাতৃগর্ভের সম্মুখ দেয়াল
২। জরায়ুর দেয়াল
৩। জরায়ুতে ভ্রূণকে আবৃতকারী গর্ভফুলের আভ্যন্তরীণ অতি পাতলা পর্দা।
ভ্রূণের পর্যায়সমূহ
আল্লাহ বলেনঃ“আমি মানুষকে মাটির সারাংশ
থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে
পরিণত, এরপর সেই মাংসপিণ্ড থেকে হাঁড় সৃষ্টি করেছি,অতঃপর হাঁড়কে গোশত দ্বারা আবৃত করেছি।অবশেষে তাকে এক নতুন সৃষ্টিরূপে দাঁড়
করিয়েছি।
নিপুণতম সুষ্টির্কতা আল্লাহ কত কল্যাণময়?
সূরা আল মোমিনূন- ১২-১৪ এ আয়াতদ্বয়ে মহান স্রষ্টা বলেন তিনি মানুষকে ক্ষুদ্র পরিমাণ তরল পদার্থ থেকে
সৃষ্টি করেছেন এবং একে এক সুরক্ষিত বিশ্রামের স্থানে সংরক্ষিত করেছেন। জরায়ু
সর্বদাই পেছন দিক থেকে মেরুদণ্ড দ্বারা সংরক্ষিত। মেরুদণ্ড আবার পেছনের মাংসপেশী
দ্বারা সংযুক্ত।
তাছাড়া ভ্রূণ
গর্ভফুলের রস সম্পন্ন গর্ভথলি দ্বারা সংরক্ষিত। এর দ্বারা বুঝা যায় যে,ভ্রূণ একটি সুরক্ষিত স্থানে অবস্থান করে।১অধ্যাপক মশর্অল জনসন যুক্তরাষ্টের একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী Anatomy dept-এর প্রধান এবং ফিলাডেলফিয়ার থমাস জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দানিয়েল ইনিষ্টিটিউটের পরিচালক। তাকে ভ্রূণতত্ব সম্পর্কে কোরআনের এই আয়াতের উপর মন্তব্য করার অনুরোধ করা হলে, তিনি প্রথমে বলেনঃ "ভ্রূণের পর্যায়গুলো সম্পর্কে কোরআনের বর্ণনা গুলো শুধুমাত্র সমকালের সংঘটিত কোন ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা যাবেনা। সম্ভবত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট খুবই শক্তিশালী কোন মাইক্রোস্কোপ ছিল। যখন তাকে স্মরন করিয়ে দেয়া হলো যে, কোরআন ১৪০০ বছর আগে অবতীর্ণ হয়েছে, আর মাইক্রোস্কোপ আবিস্কার হয়েছে নবী মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বহু শতাব্দী পর। তখন তিনি হেসে দেন, এবং স্বীকার করেন যে, প্রথম দিকে আবিস্কৃত মাইক্রোস্কোপ ক্ষুদ্র জিনিসকে তেমন বড় করে দেখতে পারেনি এবং যাও দেখিয়েছে, তাও আবার পরিস্কার ছবি ছিল না। তারপর তিনি বলেন, মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কোরআন পাঠ করেন, তখন তাঁর উপর ওয়াহি নাযিল হওয়ার বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই। (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী)।
একদল মুসলিম বিশেষজ্ঞ ইয়েমেনের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ শেখ আবদুল মজীদ যিন্দানীর নেতৃত্বে পবিত্র কোরআন মজীদ এবং বিশুদ্ধ হাদীস থেকে ভ্রূণতত্বসহ অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করে তা ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন।
কোরআন এবং হাদীসে ভ্রূণতত্ব সম্প্রর্কিত বর্ণনাগুলোকে একত্রিত করে ইংরেজীতে অনুবাদের পর কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রূণতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বর্তমান যুগে ভ্রূণতত্বে সর্বোচ্চ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডঃ কেইথ মুরকে সেগুলোর ব্যাপারে মন্তব্য করতে বলা হয়। ডঃ মুর ভালভাবে সেগুলো অধ্যায়নের পর বলেনঃ কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসে ভ্রূণতত্ব সম্পর্কে যা এসেছে, ভ্রূণবিদ্যার ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে সেগুলোর অধিকাংশের পূর্ণ মিল রয়েছে, কোন বেমিল বা বৈসাদৃশ্য নেই। “পড় তোমার প্রভূর নামে,যিনি সৃষ্টি করেছেন।তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।সূরা আলাক্ব -১-২
আরবী ভাষায় “আলাক্ব শব্দের অর্থ হল,জমাট রক্ত।এর অপর অর্থ হল, দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে এমন আঠলো জিনিস। যেমন.জোঁক কামড় দিয়ে আটকে থাকে।
ডঃমুর জানেন না যে, প্রাথমিক অবস্থায় ভ্রূণকে কি জোঁকের মত দেখায়?তিনি এটা যাঁচাই করার জন্য এক শক্তিশালী মাইক্রোস্কোফের সাহায্যে ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থা গবেষণা করেন এবং বলেন যে, ভ্রূণের চিত্র দেখতে জোঁকের আকৃতির মত।তিনি এ দু’টোর মধ্যে অদ্ভুত সামঞ্জস্য দেখে অভিভূত হয়ে যান। এইভাবে,তিনি ভ্রূণতত্ব সম্পর্কে কোরআন থেকে আরো বেশী জ্ঞান অর্জন করেন যা তাঁর জানা ছিল না। ডঃমুর কোরআন ও হাদীসে বর্ণিত ভ্রণতত্ব সম্পর্কিত ৮০টি প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন,কোরআন ও হাদীসে উল্লেখিত তথ্যগুলো ভ্রূনতত্ব সম্পর্কে সর্বশেষ আবিষ্কৃত তথ্যের সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল।তিনি আরো বলেন,আমাকে যদি আজ থেকে ৩০ বছর আগে এ সকল প্রশ্ন করা হত,তাহলে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের অভাবে আমি সে গুলোর অর্ধেকেরও উত্তর দিতে পারতাম না।
তিনি সৌদী আরবের দাম্মামে, ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত এক চিকিৎসা সম্মেলনে বলেন, কোরআনে মানুষের বিকাশ সম্পর্কিত বর্ণনার ব্যাখ্যা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে, মোহাম্মদের কাছে এ সকল বর্ণনা আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে। কেননা, পরবর্তী বহু শতাব্দী পরেও এর অধিকাংশ জ্ঞান আবিষ্কৃত হয়নি। এর দ্বারা আমার কাছে একথা প্রমাণিত যে, মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবশ্যই আল্লাহর নবী (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ'জীম)।
উল্লেখ্য, ডঃকেইথ মুর আগে ‘The Developing Human' নামক একটা বই লিখেছিলেন। কিন্তু কোরআন থেকে জ্ঞান সংগ্রহের পর তিনি তার ঐ বইয়ের ৩য় সংস্করণ প্রকাশ করেন। বইটি একক লেখকের সর্বোত্তম চিকিৎসা বই হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। বইটি বিশ্বের বড় বড় অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং ১ম বর্ষের মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের জন্য ভ্রূণবিদ্যায় পাঠ্যবই হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
আমেরিকার হিউষ্টনে বেলর কলেজ অব মেডিসিনের ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃজোয়লিগ সিম্পসন ঘোষণা করেনঃ"ধর্মের (ইসলামের) সাথে মানব জন্ম সংক্রান্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন বিরোধ নেই। অধিকন্তু ধর্ম অর্থাৎ ইসলাম তার অবতীর্ণ জ্ঞান দিয়ে কিছু প্রচলিত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গীকে পথ প্রদর্শন করতে পারে।-------- কোরআনের বর্ণনাগুলো পরবতী শতাব্দী গুলোতে যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে। এর দ্বারা একথার সমর্থন পাওয়া যায় যে, কোরআনের জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত।” (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ'জীম)।
শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির অনুভূতি
বিকাশমান মানবিক ভ্রূণের মধ্যে প্রথম যে অনুভূতিটি সৃষ্টি হয় সেটি হল শ্রবণ
শক্তির অনুভূতি । ২৪ সপ্তাহ পর ভ্রূণ, শব্দ
শুনতে পায়। তারপর দৃষ্টি শক্তি হয় এবং ২৮ সপ্তাহ পরে রেটিনা বা অক্ষিপট আলোর গতি
সংবেদনশীল হয়। আল্লাহ কোরআন মজীদে বলেনঃ“এবং তোমাদেরকে দেন কান, চোখ ও অন্তর ।” সূরা সাজদাহ -৯
আল্লাহ আরো বলেনঃ আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে - এভাবে তাকে পরীক্ষা করবো । অতঃপর তাকে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি ।”- সূরা দাহর-২
আল্লাহ আরো বলেনঃ“তিনি তোমাদের কান, চোখ অন্তঃকরণ সৃষ্টি করেছেন, তোমরা খুবই অল্প কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে থাক।” -সূরা আল- মোমেনুন -৭৮
উপরোক্ত আয়াতসমূহের দৃষ্টিশক্তির আগে শ্রবণ শক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বুঝা যায় আধুনিক ভ্রূণ বিজ্ঞানের সাথে কোরআনের বর্ণনায় পরিপূণ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ'জীম)
আধুনিক
বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত কিছু ইসলামী বৈজ্ঞানিক দিক-প্রসঙ্গ
ভ্রূণসৃষ্টি এবং এর বিকাশ
মহা নবী হযরত মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে এ সম্পর্কে বিরাজমান তত্ত্বের ভিতরে
এরিস্টটলের এই ধারণা অন্তর্ভুক্ত ছিলো যে, একটি শিশু রক্তের জমাট বাঁধা অবস্থা
থেকে সৃষ্ট, যেভাবে পনীর তৈরী হয়। আঠারশ শতাব্দীতে
হার্টসিকার দাবী করেন যে, তিনি আদি মাইক্রোস্কোপ-এর সাহায্যে স্পার্ম এর মধ্যে
প্রাথমিকভাবে গঠিত মানুষ দেখতে পেয়েছেন। কুরআন এসব কিছুই বলছে না,
বরং মানবের ভ্রূণাবস্থার বিকাশের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বর্ণনা দিচ্ছে: “আমি তো মানুষকে মাটির উপাদান থেকে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর
আমি তাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক নিরাপদ আধারে (মাতৃজঠরে) স্থাপন করি, পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি জমাট রক্তে, অতঃপর
জমাট রক্তকে পরিণত করি পিণ্ডে এবং পিণ্ডকে পরিণত করি অস্থিপিঞ্জরে, অতঃপর অস্থিপিঞ্জরকে মাংস দ্বারা ঢেকে দিই, অবশেষে
তাকে রূপ দান করি। সুনিপুণ স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান! এরপর তোমরা অবশ্যই মৃত্যুবরণ
করবে। অতঃপর কিয়ামতের দিন তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে।” (সূরা আল মু’মিনুন, ২৩, ১২-১৬)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো
ব্যাখ্যা করেন যে “নুতফা” পুরুষের শুক্রাণু (Sperm) ও নারীর ডিম্বাণু (Ovum) উভয়টিকেই বোঝায়। “আলাক্ব” শব্দটির তিনটি অর্থ আছে আরবীতে: (১) আঁকড়ে
থাকা বস্তু, (২) জমাট রক্তবিন্দু, (৩)
জোঁকের মত বস্তু। তিনটি অর্থই বিকাশমান ভ্রূণের প্রথম ধাপকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে।
নিষিক্ত ডিম্বাণু এমন হয় যে, তা জরায়ূর দেওয়াল আঁকড়ে ধরে রাখে। তারপর আকার ও
আচরণের দিক থেকে সেটা জোঁকের সাদৃশ্য লাভ করে। জোঁক এবং ভ্রূণ উভয়েই রক্ত শোষণ
করে। এটা জমাট রক্তবিন্দুর মতও হয়ে থাকে। পরবর্তী স্তরে এটা চিবানো-বস্তুর মত হয় দেখতে,
এটাও সঠিক। এটাও সত্যি যে পেশী ও গোশ্তের পূর্বে অস্থি তৈরী হয়। রাসূলের হাদীসে এসেছে: “যখন বিয়াল্লিশ দিন পার হয়, আল্লাহ একজন ফেরেশতা
পাঠান যখন সে ভ্রূণ-কে আকার দান করে, এর কান, চোখ, চামড়া, মাংস এবং হাড়
তৈরী করে। তারপর সে জানতে চায়, “হে রব, এটা কি পুরুষ অথবা নারী? এবং তোমাদের প্রভু স্থির
করেন যা তিনি চান এবং তখন ফেরেশতারা তা লিখে নেয়।” (সহীহ মুসলিম; অধ্যায়ঃ কদর; হাদীস নং: ৬৩৯৩)
উপরোক্ত কোরঅআন-সূন্নাহ বর্ণিত মানব শিশুর
স্তর স্তরে বিকাশের পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা বিগত এক শতাব্দী পূর্বেও শক্তিশালী
মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কারের আগে এটা জানা সম্ভব ছিল না।
শীর্ষস্থানীয় ভ্রূণতত্ত্ববিদগণের অন্যতম কিথ মুর,
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, পবিত্র কুরআন-হাদিসে
বর্ণিত মানব শিশুর ভ্রুণ সংক্রান্ত এই বিরল তথ্যবহুল বক্তব্য সম্পর্কে বলেন,
“উনিশ শতক পর্যন্ত, মানবীয় বিকাশের ধাপগুলি
সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। উনিশ শতকের শেষ দিকে বর্ণমালার প্রতীকের উপর ভিত্তি
করে মানব ভ্রূণের বিকাশের বিভিন্ন ধাপ চিহ্নিত করা হয়। বিশ শতকে সংখ্যার
সাহায্যে এর ২৩টি ধাপ বর্ণনা করা হয়। এই সংখ্যার সাহায্যে চিহ্নিতকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ নয় এবং একটি ভালো
পদ্ধতি হবে অঙ্গসংস্থান বিদ্যার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা পদ্ধতি। সামপ্রতিককালে
কুরআন অধ্যয়নের ফলে ভ্রূণবিকাশের বিভিন্ন ধাপ চিহ্নিতকরণের আর একটি পদ্ধতি
প্রকাশিত হয়েছে- যা এর সহজবোধ্য আকৃতির পরিবর্তন ও নড়াচড়ার উপর ভিত্তি করে তৈরী।
এখানে যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা
আল্লাহ (সুবহানাহু তায়ালা) জিবরাইল (আলাইহিমুস সালাম)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জানিয়েছেন এবং তা কুরআনে লিপিবদ্ধ হয়েছে…. এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে, এসব বক্তব্য নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছ থেকে
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এঁর কাছে এসেছে। কারণ, এই জ্ঞানের প্রায়
সবটুকুই আবিষ্কৃত হয়েছে এর (কুরআন নাজিলের) বহু শতক পরে। এটা আমার কাছে প্রমাণ
করছে যে, মুহাম্মাদ নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল।”
ফিলাডেলফিয়ার টমাস জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল বাও ইনস্টিটিউট
ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি
বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান এবং ফিলাডেলফিয়ার টমাস জেফারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েল বাও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মার্শাল জনসন বলেন,
“বিজ্ঞানী হিসাবে আমি সেসব বস্তু নিয়ে কাজ করি- যা আমি
নির্দিষ্টভাবে দেখতে পারি। আমি ভ্রূণতত্ত্ব এবং ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি বুঝতে
পারি। আমি কুরআনে যে শব্দগুলি আমার কাছে অনুবাদ করে দেওয়া হয়েছে তা বুঝতে পারি।
সুতরাং, আমি মনে করি যে, এই ধারণার সাথেও
সাংঘর্ষিক কিছু দেখতে পাই না যে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা বলেছেন তাতে ওয়াহির (আল্লাহর)
হস্তক্ষেপ রয়েছে।”
ছায়াপথ সৃষ্টির আগে প্রাথমিক গ্যাস পিন্ড
বিজ্ঞানীরা একমত যে, মহা বিশ্বে ছায়াপথ তৈরীর আগে
আকাশ সম্পর্কিত পদার্থগুলো গ্যাস জাতীয় জিনিস ছিল। সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিপুল সংখ্যক গ্যাসজাতীয় পদার্থ কিংবা মেঘ, ছায়া পথ
তৈরীর আগে বিদ্যমান ছিল। আকাশ সম্পর্কিত প্রাথমিক পদার্থকে গ্যাস অপেক্ষা ধুঁয়া
বলা বেশী সঙ্গত। কোরআন মজীদ ধুঁয়া দ্বারা মহাবিশ্ব সৃষ্টির ঐ
অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ“তার পর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা কিছু ধূঁম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবী বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম। - সূরা হা-মীম সাজদাহ-১১এটা স্বতঃসিদ্ধ যে, এ অবস্থায় মহাবিস্ফোরণেরই ফল এবং মহানবী মোহাম্মদ (ছঃ) এর আগে এ বিষয়টি কারো জানা ছিল না। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এ জ্ঞানের উৎস কি ?
পৃথিবীর আকার গোল
প্রথম যুগে মানুষ বিশ্বাস করত যে, পৃথিবী
চেপ্টা ছিল। বহু শতাব্দী ব্যাপী মানুষ দূরে সফরে যেতে ভয় পেত কি জানি পৃথিবীর
কিনারা থেকে পড়ে যায় কিনা। স্যার ফ্রনকিস ড্র্যাক প্রথম প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী গোলাকার । তিনি ১৫৯৭ সনে পৃথিবীর চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করেন। আমরা দিবা রাত্রির আবর্তনের ব্যাপারে কোরআনের নিন্মোক্ত আয়াতটি বিবেচনা করতে পারি।
“আপনি কি দেখেনা আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান? -সূরা লোকমান - ২৯ । অর্থাৎ রাত আস্তে আস্তে এবং ক্রমান্বয়ে দিনে রূপান্তরিত হয়, অনুরূপভাবে দিনও আস্তে আস্তে এবং ক্রমান্বয়ে রাতে পরিবর্তিত হয়। পৃথিবী গোলাকৃতির হলেই কেবল এ ঘটনা ঘটতে পারে ।
সূর্যের আবর্তন
সূর্য স্থির নয়, গতিশীল
“সূর্য তার নির্দ্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশ্যালী সর্বজ্ঞ
আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ” (সূরা ইয়াসিন-৩৮) অনূরূপ বর্ণনা সূরা
রাদ- এর ২নং আয়াত, সূরা ফাতের এর ১৩নং আয়াত, সূরা যোমারের ৫নং আয়াত ও ২১নং আয়াতে আছে।“তিনি সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং চাঁদ-সূর্য। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (সূরা আম্বিয়া -৩৩)
“সূর্য নাগাল পেতে পারে না চাঁদের এবং রাত আগে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।” সূরা ইয়াসিন -৪০
১৫১২ খৃঃ নিকোলাস কোপারনিকাস তত্ত্ব মতে, সূর্য গতিহীন। ১৬০৯ খৃঃ জার্মান বিজ্ঞানী ইউহান্নাস কেপলার ‘Astronomia Nova’ নামক একটি বই প্রকাশ করেন। তিনি তাতে মত প্রকাশ করেন যে, গ্রহগুলো নিজ নিজ কক্ষপথে আবর্তিত হয়।
সূর্য আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে আনুমানিক ২৪-২৬
হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং কেন্দ্রের চারদিকে ২২.৫ থেকে ২৫ কোটি বছরে একবার
ঘুরে আসে।
উ চাঁদের আলো হচ্ছে প্রতিফলিত আলো“তোমরা কি লক্ষ্য করনা যে,আল্লাহ কিভাবে সাত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন,সেখানে চাঁদকে রেখেছেন স্নিন্ধ আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে ?”- সুরা নূহ-১৫-১৬
মহান কোরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান চাঁদ ও সূর্যের আলোর ব্যবধানের ব্যাপারে অভিন্ন কথা বলে।
আগের সভ্যতা গুলোর ধারণা ছিল, চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। কিন্তু বিজ্ঞান বর্তমানে আমাদেরকে বলে যে, চাঁদের আলো হচ্ছে সূর্যের প্রতিফলিত আলো। এ সত্যটি কোরআন আমাদেরকে আজ থেকে ১৪শ বছর আগে বলেছে। আল্লাহ বলেনঃ “তিনিই সে সত্তা-যিনি সূর্যকে কিরণোজ্জল এবং চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত করেছেন।” সুরা ইউনুস-৫
সূর্য নিষ্প্রভ হয়ে যাবে
বিজ্ঞানীদের অভিমতঃ বিগত ৫ বিলিয়ন বছর ব্যাপী রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সূর্যের
দেহে তাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ভবিষ্যতে এক সময়ে এর অবসান ঘটবে এবং তখন সূর্য নিষ্প্রভ
হয়ে যাবে। ফলে পৃথিবীর সকল অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুর্যের অস্থায়িত্ব
সম্পর্কে আল্লাহ কোরআন মজীদে বলেনঃ
এ মর্মে আল্লাহ বলেন:
‘যখন সূর্য নিষ্প্রভ হয়ে যাবে।
(সূরা তাকবীর-১)
মহাশূন্যে বস্তুর অস্তিত্ব
সুসংগঠিত সৌরজগতের বাইরের স্থানকে প্রথমে শুণ্য মনে করা হত। জ্যোতির্বিদরা
পরবর্তীতে মহাশুন্যে বস্তুর সেতু আবিষ্কার করেন। বস্তুর সেতুকে প্লাজমা বলে,যাতে পারমানবিক গ্যাস রয়েছে এবং তাতে সমান সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন ও
ইতিবাচক পরমাণু আছে। কোন কোন সময় প্লাজমাকে বস্তুর ৪র্থ অবস্থা বলে। অন্য
তিনটি অবস্থা হল,কঠিন তরল এবং বায়বীয়। কোরআন
নিম্নের আয়াতে মহাশুন্যের ঐ বস্তুর অস্তিত্ব সম্পর্কে কথা বলেছে। আল্লাহ বলেনঃ
(আরবী) “তিনি সে সত্তা যিনি আসমান ও যমীন এবং এ দুয়ের মাঝে
অবস্থিত সকল সৃষ্টি করেছেন। সূরা ফোরকান-৫৯১৪০০ বছর আগে মহাশূন্যে সৌর বস্তুর জ্ঞান অস্তিত্বের জ্ঞান সম্পর্কে বললে যে কেউ তা উপহাস করতে পারে।
সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব
১৯২৫খৃঃ জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবেল পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণের সাহায্যে বলেছেন,প্রতিটি ছায়াপথ অন্য ছায়াপথ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে। এর অপর অর্থ হল,মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে। মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ এখন বৈজ্ঞানিক সত্য।
কোরআন মহাবিশ্বের প্রকৃতি সম্পর্কে একই কথা বলেছে।আল্লাহ বলেনঃ“আমি নিজ ক্ষমতা বলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই এর সম্প্রসারণকারী।”সূরা যারিয়াত-৪৭
আরবী শব্দ (আরবী) এর বিশুদ্ধ অনুবাদ হল,‘সম্প্রসারণকারী।’ এটা মহাবিশ্বের ব্যাপক সম্প্রসারণশীলতার প্রতি ইঙ্গিতবাহী।
প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ স্টিফেন হকিং তার A Brief History of time বইতে লিখেছেন মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ সম্পর্কিত আবিষ্কার বিংশ শতাব্দীর মহান বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লব। মানুষ কর্তৃক টেলিষ্কোপ আবিষ্কারের পূর্বে কোরআন মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে।
বিশ্ব সৃষ্টি ও মহা বিস্ফোরণ (বিগ ব্যাংগ)
বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে জ্যোতির্বিদদের প্রদত্ত ব্যাখ্যা ব্যাপকহারে
গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে নভোচারী ও জ্যোতির্বিদদের সংগৃহীত ও
পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষামূলক উপাত্ত দ্বারাও তা সমর্থিত হয়েছে। মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব
অনুযায়ী মহাবিশ্ব ছিল প্রথমে একটি বিশাল নীহারিকা। পরে ২য় পর্যায়ে তাতে এক বিরাট
বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে ছায়া পথ তৈরী হয়। এগুলো পরে তারকা,
গ্রহ, সূর্য ও চন্দ্র ইত্যাদিতে রুপান্তরিত
হয়। বিশ্বের সূচনা পরম বিষ্ময়কর এবং দৈবক্রমে অর্থাৎ হঠাৎ (By Chance)
তা ঘটার সম্ভাবনা শূন্য পর্যায়ে।পবিত্র কোরআন মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে নিম্নোক্ত আয়াতে বলেছে,
“কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মূখ বন্ধ ছিল, তারপর আমি ঊভয়কে খুলে দিলাম।” - সূরাহ আম্বিয়া-৩০
মহাকাশবিজ্ঞান
“অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল; অতঃপর
আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম; এবং জীবন্ত সব কিছু পানি থেকে
সৃষ্টি করলাম; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?” (সূরা আল আম্বিয়া, ২১:৩০)
এই আয়াতটি বিশ্বের উৎপত্তির সাধারণ তত্ত্ব
বর্ণনা করছে, যে সত্য আজ থেকে চল্লিশ বছর আগেও
নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ্যার সূচনার আগে আবিষ্কৃত হয়নি। এখানে যে পৃথক করার বলা হয়েছে
তা বিজ্ঞানীদের কথিত “বিগ-ব্যাং” তত্ত্বের অনুরূপ। তাছাড়া, সমস্ত জীবিত প্রাণী প্রটোপ্লাজম
দিয়ে তৈরী যার ৮০-৮৫% ভাগই পানি।
“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন,
যা ছিল ধূম্রপুঞ্জ বিশেষ। অনন্তর তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে বললেন,
‘তোমরা উভয়ে আমার আদেশ পালনের জন্য ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় প্রস্তুত
হও।’ তারা বলল, ‘আমরা তো অনুগত থাকতে প্রস্তুত
আছি।” (সূরা আল ফুসসিলাত, ৪১:১১)
এখানে ‘ধূম্রপুঞ্জ’ শব্দটি বিশ্বের আদিম অবস্থার সঠিক বর্ণনা দিচ্ছে, যা
ছিল গরম গ্যাসের পিণ্ড যাতে বস্তুকণা দ্রুত ছোটাছুটি করছে, ধোঁয়ার
মত। এ থেকে গ্রহ, নক্ষত্র ও পৃথিবী তৈরী হয়।
“আমি আমার ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি
এবং আমিই একে সম্প্রপ্রসারিত করছি।” (সূরা আয যারিয়াত,
৫১:৪৭)
নিজ গতিতে চলার জন্য যে আরবী শব্দ ব্যবহৃত হয়
তা হচ্ছে সাবাহাহ্ (এই আয়াতে ইয়াসবিহুনা)।
এটা একটা স্বীকৃত সত্য যে, আমরা যে বিশ্বে
বাস করছি তা সম্প্রসারণশীল।
ভূতত্ত্ব:
“আমি কি ভূমিকে বিছানা ও পর্বতকে কীলক
সদৃশ করিনি?” (সূরা আন নাবা’, ৭৮:৬-৭)
“আল্লাহই পৃথিবীতে পর্বতমালা স্থাপন
করেছেন যাতে এ তোমাদের নিয়ে ঢলে না পড়ে।” (সূরা আল
লুকমান, ৩১:১০)
সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে যে, পর্বতমালার যে মূল ভূত্বকের ভিতরে চলে গেছে তা
সাতটি টেকটোনিক প্লেট দিয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলির নড়াচড়াই ভূমিকম্পের কারণ। এটা
ধারণা করা হচ্ছে যে এই মূল এবং পর্বতের ওজন ভূত্বকের স্থিতিশীলতার ব্যাপারে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পরমাণু
বিজ্ঞান
গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস (৪৬০-৩৬১ খৃ.পূ.) এই তত্ত্বের উদ্গাতা যে বস্তু ছোট অবিভাজ্য কণা দিয়ে
তৈরী, যার নাম এটম। আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, পদার্থ
নিম্নতম স্তরের নাম এটম আছে, এবং তা বিভাজ্য।
কুরআন বলছে: “তিনি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত, আকাশমণ্ডলী ও
পৃথিবীতে অণু-পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু যাঁর অগোচর নয়।” (সূরা সাবা,
৩৪:৩)
ত্বক
বিজ্ঞান
“মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত
করতে পারব না? বস্তুত আমি তার অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত
পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।” (সূরা আল ক্বিয়ামাহ,
৭৫:৩-৪)
কোন দুটি আঙ্গুলের ছাপ একরকম নয়। [সংকলক –
দুইটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপ এক রকম না হওয়ায়, এই
বৈশিষ্ট্যকে “ফিঙ্গারপ্রিন্ট
ভেরিফিকাশন” নামে অন্যতম “সিকিউরিটি অথেন্টিক্যাশেন মেথড”
হিসেবে বর্তমানে ব্যবহত হচ্ছে।] এই আয়াতে আমাদের পরকালে পুনর্জীবিত করার আল্লাহর
জ্ঞান ও ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।
“যারা আমার আয়াতকে অবিশ্বাস করে তাদের
আগুনে দগ্ধ করবই। যখনই তাদের চর্ম দগ্ধ হবে তখনই তার স্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি করব,
যাতে তারা শাস্তি ভোগ করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা আন নিসা, ৪:৫৬)
যেসব স্নায়ুপ্রান্ত বেদনা বোধ করে তা চামড়ায়
রয়েছে। যখন চামড়া মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়, তখন
স্নায়প্রান্ত ধ্বংস হয়ে যায় ও বেদনা আর টের পাওয়া যায় না। জাহান্নামে আল্লাহ পুনরায়
চামড়া সৃষ্টি করবেন যাতে তার অধিবাসীরা স্থায়ীভাবে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। “নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ হবে পাপীর খাদ্য; গলিত
তাম্রের মত তা উদরে ফুটতে থাকবে, ফুটন্ত পানির মত।’ ‘আস্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো ছিলে সম্মানিত, অভিজাত। তোমরা তো এ শাস্তি সম্পর্কে সন্দিহান ছিলে।’ (সূরা আদ দুখান, ৪৪:৪৩-৫০)
“…এবং যাদের পান করতে দেওয়া হবে ফুটন্ত
পানি যা তাদের নাড়িভুড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।” (সূরা মুহাম্মাদ, ৪৭:১৫)
পানি
চক্র:
কুরআনে সঠিকভাবে পানি চক্রের বর্ণনা দেওয়া
আছে এবং ভূগর্ভের ঝরণার পানির উৎস হিসাবে বৃষ্টির পানিকে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের
কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক প্রতীয়মান হলেও গ্রীক দার্শনিকগণ এটা মনে করতেন না,
তাঁরা ভাবতেন মাটির তলার ঝর্ণাধারা তৈরী হত সমুদ্রের পানির ধারা
গুহায় জমে গিয়ে, যা বিরাট পাতালের সমুদ্রে গহ্বরের মাধ্যমে
সরবরাহ হতো। আসলে অষ্টাদশ শতকের পূর্বে পানি চক্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। অথচ
কুরআন এদিকে বলছে,
“তুমি কি দেখনা, আল্লাহ
আকাশ থেকে বারিবর্ষণ করেন, অতঃপর ভূমিতে স্রোতরূপে প্রবাহিত
করেন?” (সূরা আয যুমার,
৩৯:২১)
কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন ও ডেন্টিস্ট্রির এনাটমি বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যানটি.ভি.এন পারসাদ বলেছেন, “মুহাম্মাদ (সাঃ) (জাগতিক
পদ্ধতিতে) পড়তে জানতেন না, লিখতে পারতেন না, আসলে তিনি (জাগতিকভাবে) নিরক্ষর
ছিলেন…আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করছি তা হল যে, চৌদ্দশত বছর
পূর্বে একজন নিরক্ষর লোক গভীর জ্ঞানগর্ভ এমন কিছু উচ্চারণ করেছিলেন ও বক্তব্য দিয়েছিলেন-যা
বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক। আমি ব্যক্তিগতভাবে বুঝতে পারি না যে, এটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা
কিভাবে হতে পারে? এতে অসংখ্য অত্যন্ত সঠিক বৈজ্ঞানিক ব্যাপার রয়েছে… আমার মনে কোন সংশয় নেই যে, কোন এক অদৃশ্য মহান সত্বার প্রেরণা বা ওহী এই
সত্য প্রকাশ করতে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে। আমরা যেন ড. মরিস বুকাইলির কথাগুলি ভুলে
না যাই যে, এই সত্যগুলো “মানবীয়ভাবে ব্যাখ্যার ব্যাপারে একটি
চ্যালেঞ্জ।”
কুরআন বাহ্যিক বাস্তবতার সাথে যেমন সঙ্গতিপূর্ণ
এবং আভ্যন্তরীণের সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ। অসঙ্গতি ও বৈপরীত্য রয়েছে আসলে মানুষের কাজের
প্রকৃতিতে, তা তারা বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাধু অথবা সূফী যাই হোক না কেন। এটা ওহীর
জন্য সত্য হতে পারে না, যেমন কুরআন বলছে, “তারা কি সতর্কতার সাথে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, যদি এটা আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছ থেকে হতো, তারা
এতে বহু অসামঞ্জস্য খুঁজে পেতো।
পদার্থ বিজ্ঞান
অণূকে বিভক্ত করা যায়ঃ প্রাচীন যুগে ‘অণুতত্ব’
নামে একটি তত্ব ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে।২৩০০ বছর আগে, গ্রীকদেশীয় এ তত্বটি যিনি দেন,তার নাম,Democritus।ডেমোক্রিটাস ও তার
পরবর্তী যুগের লোকেরা মনে করত যে,বস্তুর সর্বাধিক
ক্ষুদ্র একক হচ্ছে,অণু।প্রাচীন আরবরাও তা বিশ্বাস করত।আরবী
শব্দ (আরবী) এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে,অণু।সম্প্রতি,আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, বিভক্ত করা
যায়।অণুকে বিভক্ত করার বিষয়টি বিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার।আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে এ
শব্দটি আরবদের কাছেও ছিল অসাধারণ।কেননা,কেউ (আরবী )শব্দের
সীমাবদ্ধ অর্থের গতি অতিক্রম করতে পারেনি।কোরআনের নিম্নের আয়াতটি (আরবী ) শব্দের
এই সীমা স্বীকার করেনা।আল্লাহ বলেনঃ“কাফেররা বলে,আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না।বলুন,কেন আসবেনা? আমার প্রতিপালকের শপথ,অবশ্যই আসবে।তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত।আসমান ও যমীনে অণু পরিমাণ কিংবা তা থেকে ক্ষুদ্র ও বড় কোন কিছুই তার অগোচরে নয়।সমস্তই আছে সুষ্পষ্ট কিতাবে।”( সূরা সাবা-৩) অনুরূপ বর্ণনা সূরা ইউসুফের ৬১নং আয়াতেও আছে।
।
পানি বিজ্ঞান
পানি চক্রঃ
১৫৮০ খৃঃ বর্ণার্ড পলিসি সর্বপ্রথম বর্তমান যুগের পানি চক্র সম্পর্কে আলোচনা
করেন।তিনি সাগর থেকে বাষ্পাকারে পানির উড়ে যাওয়া এবং পরে ঠান্ডা হয়ে মেঘে পরিণত
হওয়ার বিষয়ে মত প্রকাশ করেন। মেঘমালা সাগর থেকে দূরবর্তী ভূখন্ডের উপর ঘনীভূত হয়ে
পরে বৃষ্টি আকারে নীচে পতিত হয়।বৃষ্টির পানি খাল-বিল ও নদী-নালায় জড় হয়ে অব্যাহত
নিয়মে সাগরে প্রবাহিত হয়।খৃষ্টপূর্ব ৭ শতাব্দী আগে,মিলেটাসের
থেলসের মতে সাগরের উপরিভাগের ছিঁটানো পানি কণাকে ধারণকারী বাতাস, ভূখন্ডে তা বৃষ্টি আকারে ছড়িয়ে দেয়।আগের যুগের লোকেরা ভূগর্ভস্থ পানির উৎস সম্পর্কে জানতনা।তারা ভাবত যে,সাগরের পানি দমকা বাতাসের মাধ্যমে সজোরে ভূখন্ডে এসে পতিত হয়।তারা আরও বিশ্বাস করত যে,গোপন পথে কিংবা গভীর জলরাশি থেকে পানি পুনরায় ফিরে আসে যা সাগরের সাথে জড়িত।প্লেটোর যুগ থেকে এটাকে ‘তারতারুস’ বলা হত।এমন কি ১৮শ শতাব্দীর বিখ্যাত চিন্তাবিদ ডেস কার্টেজও এমত পোষণ করতেন।১৯শতকে এরিষ্টেটলের তত্ব সর্বত্র বিদ্যমান ছিল।ঐ তত্বে বলা হয় যে, পাহাড়ের ঠান্ডা গভীর গুহায় পানি ঘনীভূত হয় এবং মাটির নীচ দিয়ে প্রবাহিত হ্রদ ঝর্ণাগুলোকে পানি সরবরাহ করে।বর্তমান যুগে আমরা জানতে পেরেছি যে, বৃষ্টির পানি মাটির ফাটল দিয়ে ভেতরে চুইয়ে পড়ার কারণে ঐ পানি পাওয়া যায়।
একথাই কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতে এভাবে বলা হয়েছেঃ
“তুমি কি দেখনি যে,আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তারপর সে পানি যমীনের ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন,এর দ্বারা বিভিন্ন রংয়ের ফসল উৎপন্ন করেন?- সূরা যোমার -২১
তিনি আরো বলেনঃ
“তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন এবং মৃত্যুর পর ভূমির পূনরুজ্জীবন করেন।নিশ্চয়ই এতে, বুদ্ধিমান লোকদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলী।” (সূরা আর রুম -২৪ )
আল্লাহ বলেনঃ
“আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণ মত, তারপর তাকে যমীনে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণও করতে সক্ষম। -সূরা আল মুমিনূন -১৮
১৪০০ বছর আগের অন্য কোর বই পানি চক্রের এরূপ নিখুঁত বর্ণনা দেয়নি।
সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিণত হওয়া
পানি বাষ্প হয়ে আকাশে উঠে।কোরআন এ সত্য তুলে ধরে বলেছে (আরবী) “শপথ চক্রশীল আকাশের ।” (সূরা আত - তারেক -১১ ) পানি
চক্রও এর মধ্যে শামিল।
বৃষ্টিগর্ভ বাতাস
আল্লাহ বলেনঃ“আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু পরিচালনা করি,তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি , এরপর তোমাদেরকে তা পান করাই।”সূরা হিজর ২২
উল্লেখ্য, বাতাস মেঘমালাকে একসাথে ধাক্কা দিয়ে ঘনীভূত করে। যার ফলে আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় এবং পরে বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
কোরআনের নিম্নের আয়াতেও অনুরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়ঃ
“তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চারিত করেন,তারপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন,অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন,তারপর তুমি দেখ যে, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি আকাশস্থিত শিলাস্তুপ থেকে শিলা বর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা, তা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুত ঝলক দৃষ্টি শক্তিকে যেন বিলীন করে দিতে চায়।” সূরা আননূর -৪৩
ভূতত্ব বিজ্ঞান
পাহাড় - পর্বতসমূহ তাঁবুর পেরেকের মত
ভূতত্ব বিদ্যায় ভাজ করার বিষয়টি সম্প্রতি আবিষ্কৃত সত্য এবং পাহাড় - পর্বত
সৃষ্টির পেছনে ভাঁজ করার বিষয়টি কার্যকর। আমরা যে ভূপৃষ্ঠে বাস করি তা শক্ত ছালের
মত। পক্ষান্তরে এর গভীর স্তরগুলো গরম ও তরল যা কোন প্রাণী বাস করার উপযোগী নয়। এটা
জানা কথা যে, পাহাড়- পর্বতের স্থিতিশীলতার সম্পর্ক ভাঁজ
করার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। কেননা ভাঁজ করার ফলেই পাহাড়-পর্বতের ভিত্তি তৈরি হয়েছে।ভূতত্ববিদরা বলেন যে, পৃথিবীর ব্যাসার্ধ হল, ৬,০৩৫ কিলোমিটার। আর আমরা যে ভূপৃষ্ঠে বাস করি তা বেশী পাতলা-যার পারিসর ২-৩৫ কিলোমিটার। যেহেতু,ভূপৃষ্ঠ পাতলা,তাই তার নড়ার সম্ভাবনা বেশী। পাহাড় গুলো খুঁটি কিংবা পেরেকের মত কাজ করে-যা ভূপৃষ্ঠকে স্থিতিশীল রাখে। কোরআন হুবহু এরূপ কথাই বলেছে।আল্লাহ বলেনঃ
“আমরা কি যমীনকে বিছানা এবং পাহাড়কে পেরেক লোহা বানাইনি?” –(সূরা আন নাবা- ৬-৭)। এগুলো হল, ভৌগলিক ভাঁজের ভিত্তি।
‘T
পাহাড় দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত
ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ বহু শক্ত প্লেটে বিভক্ত এবং এর ঘনত্ব হচ্ছে ১০০কিলোমিটার।
প্লেটগুলো আংশিক গলিত অঞ্চলে ভাসমান-যাকে Aesthenosphere
বলে।ভূপৃষ্ঠের ত্বক সাগরের ৫ কিলোমিটার নীচ পর্যন্ত ঘন। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার ঘন নীচু প্লেট হচ্ছে মহাদেশের উপরিভাগ এবং প্রায় ৮০ কিলোমিটার ঘন নীচুতে বিশাল পাহাড়ের পরিসর। এগুলো পাহাড়ের শক্তিশালী ভিত্তি। কোরআন নিম্নের আয়াতে পাহাড়ের ঐ শক্ত ভিত্তি কথা উল্লেখ করেছে।
‘তিনি পাহাড়কে মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।সূরা নাযিয়াত -৩২
পাহাড়ের গঠন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বর্ণনা ভূতত্ব বিদ্যার সাথে পুরো মিলে যায় (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ'জীম)।
মহাসাগর
মিষ্টি ও লবণাক্ত পানির মধ্যে অন্তরায়
এমর্মে আল্লাহ কোরআন মজীদে বলেনঃ“তিনি পাশাপাশি দু’সাগর প্রবাহিত করেছেন উভয়ের মাঝে রয়েছে অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করেনা।” (সূরা আর রাহমান -১৯-২০)।
প্রাথমিক যুগের তাফসীরকারকরা পানির দু’টো ধারার দু’টো বিপরীতমুখী অর্থের ব্যাখ্যা করতে অপারগ ছিলেন। অর্থাৎ কিভাবে তারা মিশে একাকার হয়ে যায়, অথচ উভয়ের মধ্যে রয়েছে আড়াল। আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, যেখানে দু’সাগর এসে মিলিত হয় সেখানে উভয়ের মাঝে একটি আড়াল বা অন্তরায় থাকে। ঐ অন্তরায় দু’সাগরকে বিভক্ত করে রাখে। ফলে দেখা যায়, প্রত্যেক সাগরের রয়েছে নিজস্ব তাপমাত্রা,লবণাক্ততা এবং ঘনত্ব। (1.principles of oceanography, Davis,pp 92-93)সাগর বিশারদদের পক্ষে এ আয়াতের ব্যাখ্যা দানের উত্তম সুযোগ রয়েছে। সাগরের মাঝে প্রবাহমান ঢালু পানির অদৃশ্য আড়াল আছে যার মধ্য দিয়ে এক সাগরের পানি অন্য সাগরে যায়। আল্লাহ বলেন,
“তিনি সমান্তরালে দু’সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, এটি মিষ্ট,তৃষ্ণা নিবারক ও এটি লোনা,বিস্বাদ ; উভয়ের মাঝেখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়,একটি দুভের্দ্য আড়াল।” সূরা ফোরকান- ৫৩
আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার অনুযায়ী দেখা যায়,মিষ্টি পানি যেখানে লবণাক্ত পানির সাথে গিয়ে মিশে, সে স্থানের অবস্থা ঐ স্থান থেকে ভিন্ন-যেখানে দু’লবণাক্ত পানি গিয়ে মিশে। নদীর মোহনার লবণাক্ত পানি ও মিষ্টি পানি মিলিত হলে যে পার্থক্য সূচিত হয়,তার কারণ হল, সেখানে দুটো স্তরকে পৃথককারী চিহ্নিত ঘনত্বের ধারাবাহিতাবিহীন pycnocline zone রয়েছে। (oceanography, Gross, p.242,introductory ocanograpry, Thurman pp300,301) আর এই আড়াল সৃষ্টিকারী জোনে মিষ্টি পানি ও লবণাক্ত পানির লবণাক্ততার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।(do)
এদৃশ্য মিসরের নীল নদ ভূমধ্যসাগরের যে মিলিত হয়েছে, সেখানে সহ আরো বহু জায়গায় দেখা যায়। কোরআনে উল্লেখিত এই বৈজ্ঞানিক বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্বেবিদ্যালয়ের প্রখ্যাত সমুদ্র বিজ্ঞানী ও ভূতত্ব বিদ্যার অধ্যাপক ডঃ উইলিয়াম কর্তৃকও প্রমাণিত হয়েছে (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ'জীম)।
মহাসাগরের গভীরের অন্ধকার
অধ্যাপক দুর্গা রাও একজন প্রখ্যাত সামুদ্রিক ভূতত্ববিদ এবং জেদ্দার বাদশাহ
আবদুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন। তাঁকে কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের
উপর মন্তব্য করতে বলা হয়ঃ“অথবা (তাদের কর্ম) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ,যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে, তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না।আল্লাহ যাকে জ্যোতি দেন না,তার কোন জ্যোতি নেই (সূরা আন নূর-৪০)।
অধ্যপক রায় বলেন, বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মাত্র আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে মহাসাগরের গভীরের অন্ধকার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছে। মানুষ বিনা যন্ত্রপাতিতে পানির ২০-৩০ মিটারের বেশী নীচে ডুব দিতে পারেনা এবং সাগরের ২০০ মিটারের অধিক নীচের অঞ্চলে বাঁচাতেও পারেনা। এ আয়াতে সকল সাগরের কথা বলা হয়নি। কেননা, সকল সাগরের নীচে অন্ধকারের স্তর নেই। আয়াতে কেবল গভীর সাগর বা মহাসাগরের কথাই বলা হয়েছে। কেননা আল্লাহই উক্ত আয়াতে বলেছেন, ‘গভীর সাগরের অন্ধকার’। দু‘টো কারণে গভীর মহাসাগরের স্তরবিশিষ্ট অন্ধকার দেখতে পাওয়া যায়।
উল্লেখিত মেঘমালা একটার উপর আরেকটা আড়াল হিসেবে কাজ করায় এবং বিভিন্ন স্তরে রং ধারণ করায় অন্ধকারের মাত্রা বা ঘনত্ব আরো বেড়ে যায়।
অধ্যাপক দুর্গা রাও এ বলে সমাপ্তি টানেন যে, ১৪০০ বছর আগে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে এ অবস্থার এত বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সুতরাং এ সকল তথ্য যে ওয়াহির উৎস থেকে এসেছে,তা পরিস্কার (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ'জীম)।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান
পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গ বিশিষ্ট গাছ
মানুষ আগে জানত যে, গাছের মধ্যেও পুরুষ ও স্ত্রী
লিঙ্গ আছে। কিন্তু উদ্ভিদ বিজ্ঞানের মতে, প্রত্যেক গাছের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রী
লিঙ্গ আছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ‘আমি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছি এবং তা দ্বারা বিভিন্ন উদ্ভিদ জোড়ায় জোড়ায় উৎপন্ন করেছি’ (সূরা তোহা-৫৩)।
ফলের মধ্যেও পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গ আছে।
আল্লাহ বলেনঃ“এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে তিনি দু’প্রকার বা জোড়া সৃষ্টি করেছেন।”সূরা রাদ-৩
ফল হল,উন্নত জাতের গাছের উৎপাদন।ফল উৎপন্ন হওয়ার আগের স্তর হল,ফুল।ফলের রয়েছে পুরুষ ও স্ত্রী জাতীয় অঙ্গ।(পুংকেশর ও ডিম্বক)। পুষ্পরেণু ফুলের মধ্যে এসে পড়লে ফল ধরে, পরিপক্ক হয় এবং বীজ ধারণ করে।দেখা যায়,প্রত্যেক ফলেই পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গের অস্তিত্ব রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপঃ মুরগি-হাঁসের ডিম। তাতে মোরগ+মুরগি, হাঁস+হাঁসার বীজ নিহিত থাকে। অনুরূপ ফলের মধ্যেও পুংলিজ্গ স্ত্রী লিঙ্গের অস্তিত্ব রয়েছে।
আর একথা কোরআনে উল্লেখ আছে।বিশেষ কিছু প্রজাতি রয়েছে যে গুলোর ফল অনিষিক্ত ফুল থেকে আসে।সেগুলোকে পার্থেনোকর্পিক ফল বলা হয়।
যেমনঃকলা,বিশেষ ধরনের আনারস,ডুমুর,কমলা,আঙ্গুর ইত্যাদি।এগুলোরও রয়েছে সুনির্দ্দিষ্ট লিঙ্গ বৈশিষ্ট্য।
প্রত্যেক সৃষ্টিকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা
হয়েছে
আল্লাহ বলেনঃ ‘আমরা প্রত্যেক জিনিসকে জোড়ায়
জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। সূরা আয যারিয়াত-৪৯এই আয়াত সকল কিছুকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টির কথা বলেছে। মানুষ ছাড়াও প্রাণী,গাছ-পালা,ফল-ফলাদিতেও এই জোড়া লক্ষ্যনীয়। বিদ্যুতের মধ্যেও পজিটিভ ও নেগেটিভ অণু আছে যার মধ্যে ইলেকট্রন ও প্রোটন রয়েছে। আরো অনেক কিছুতেও অনুরুপ রয়েছে।
আল্লাহ কোরআনে বলেনঃ“পবিত্র তিনি,যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে,মানুষকে এবং যা তারা জানেনা তার প্রত্যেককে জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন” (সূরা ইয়াসিন-৩৬)।
প্রাণী বিজ্ঞান
পাখী ও প্রাণী দল বা সম্প্রদায় হিসেবে বাস
করে
মহান আল্লাহ বলেনঃ“আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যতপ্রকার পাখী দু’ডানাযোগে উড়ে বেড়ায়, তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি সম্প্রদায় বা দল।” (সূরা আল আনআম-৩৮)।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণী ও পাখী দলীয়ভাবে বাস করে। অর্থাৎ তারা সংগঠিত এবং এক সাথে কাজ করে ও বাস করে।
কতিপয় বিজ্ঞান ভিত্তিক
সওয়াল (আপত্তি) এবং আল কুরআন ভিত্তিক জবাব
ভ্রুণবিদ্যা
শুক্র
মেরুদণ্ড ও বক্ষ-পিঞ্জরের মধ্য থেকে নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে
আপত্তিঃ
পুরুষের বীর্য উৎপন্ন হয় অণ্ডকোষে আর অণ্ডকোষ থেকে তা
বের হবার পথ মূত্রথলির পিছনভাগ ও নিচ থেকে। বীর্যের উৎপাদন বা পরিক্রমণের পথ
কোনটিই মেরুদণ্ড ও বক্ষ পাঁজরের মধ্যবর্তী কোন স্থান নয়।
আল কুরআনঃ "অতএব,
মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে
সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য
থেকে"। (৮৬:৫-৭)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ কুরআন
সবেগে স্খলিত তরল সম্বন্ধে যা বলা হয়েছে, তার
বৈজ্ঞানিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ইসলাম বিশারদগণের বিভিন্ন ব্যাখ্যা পরিলক্ষিত হয়।অনেকগুলো মতের মধ্য থেকে
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতটি হলো, আধুনিক বিজ্ঞানের
দৃষ্টিতে অন্ডকোষে বীর্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত রক্ত ও স্নায়ুর সংযোগ।
অন্ডকোষের রক্ত সন্চালন হয়
Testicular
Artery নামক রক্ত নালীকা দ্বারা-যা লাম্বার লেভেল
থেকে তৈরী হয়-যা মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থান। ঠিক একইভাবে অন্ডকোষের স্নায়ুর
সংযোগ আসে Para aortic ganglia থেকে-যা অবস্থান করে মেরুদন্ড
ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থানে। এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান, অন্ডকোষের সাথে
মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের সম্পর্ক সরাসির ওতপ্রোত।
উল্লেখ্য, জন্মপূর্ব বিকাশের স্তরে, পুরুষ ও
নারীর জনেন্দ্রীয়গুলো,অর্থাৎ পুরুষের অন্ডকোষ এবং নারীর ডিম্বাশয়, কিডনীর কাছে মেরুদণ্ড স্তম্ভ এবং বক্ষপাঁজরের মাঝে বিকশিত হয়। তারপর
সেগুলো নীচে নেমে আসে। নারীর ডিম্বাশয় তলপেটে এসে থেমে যায়।
কিন্তু জন্মের আগ পর্যন্ত পুরুষের অণ্ডকোষ উরুর গোড়ার নালী দিয়ে অণ্ডকোষের
থলিতে নেমে আসার ধারা অব্যাহত থাকে। এমনকি জনেন্দ্রীয় নীচে আসার পর কৈশোরেও এগুলো
পেটের বড় ধমনী থেকে স্নায়ু ও রক্ত সরবরাহ লাভ করে। আর
সেগুলোর অবস্থান হল মেরুদণ্ড এবং বক্ষপাঁজরের মাঝখানে। রসবাগী নালী এবং শিরাগুলোও
একই এলাকার গিয়ে মিলিত হয়।
হৃদপিণ্ডের
কার্যাবলি প্রসঙ্গে
আপত্তিঃ সমালোচকগণ বলেন যে,
আধুনিক বিজ্ঞানে এটি সতত প্রমাণিত একটি বিষয় যে, মানুষের বোধশক্তি, চিন্তা-ভাবনার উৎসস্থল তার
মস্তিষ্ক। এতদসত্ত্বেও কুরআন বারবার হৃদয় তথা হৃদপিণ্ড (হার্ট বা ক্বলব)-কে
নির্দেশ করেছে চিন্তাভাবনা ও বোধশক্তির উৎসরূপে।
আল কুরআনঃ আমি
তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে
উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই। যখন আপনি কোরআনে
পালনকর্তার একত্ব আবৃত্তি করেন, তখন ও অনীহাবশতঃ ওরা পৃষ্ট
প্রদর্শন করে চলে যায়। (কুরআন, ১৭:৪৬)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ অভিযোগের
প্রত্যুত্তরে, মুসলিম মনীষীগণ আরবি অভিধানের সহায়তা নিয়েছেন। তাঁদের ব্যাখ্যা অনুসারে,
মূলত কুরআন চিন্তাশক্তির জন্য যে শব্দটির কথা বলেছে সেটি হলোঃ 'ক্বালব'। একই ধরণের কার্যাবলি ব্যাখ্যার জন্য কুরআন অন্যত্র বিভিন্ন আয়াতে 'সদর' শব্দটি ব্যবহার করেছে। কুরআনের আয়াতসমূহের
সর্বোত্তম ব্যাখ্যা হিসেবে মুসলিমগণের মাঝে স্বীকৃত পদ্ধতি হলো কুরআনকে কুরআন
দ্বারা ব্যাখ্যা করা। অর্থাৎ, কুরআনের একটী আয়াতকে অন্য আয়াতের
মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা। ফলে, মুসলিম তাফসীরকারকগণের কাছে এটি
সুস্পষ্ট যে, 'ক্বালব' এর অর্থ 'সদর'। আর আরবিতে 'সদর' শব্দের
অর্থ বক্ক, বুক, হৃদয়, অন্তর, কেন্দ্র, প্রধান
ইত্যাদি। কাজেই চিন্তাভাবনা ও উপলব্ধির জন্য কুরআন যে 'ক্বলব'
বা 'সদর' শব্দ ব্যবহার
করেছে তার মূলতঃ অর্থঃ কেন্দ্র তথা মস্তিষ্ক।
উল্লেখ্য, পবিত্র হাদীসে বলা হয়েছেঃ মানুষের দেহে একটুকরা গোশ্ত টুকরা
রয়েছে যা ভাল হলে সব কাজকর্ম ভাল ।আর খারাপ হলে খারাপ। (এই গোশ্তের টুকরাটির নাম)
"ক্বলব"। দেহের ঠিক কোন্ জায়গায় ক্বলব নামক উক্ত গোশ্তের টুকরা তা হাদীসে
নির্দেশিত নয়।
ভূতত্ত্ববিদ্যা
ও আবহাওয়াবিদ্যা
পৃথিবী সমতল
আপত্তিঃ কুরআন নাজিলের
যুগে মানুষের মাঝে এ ধারণাই প্রচলিত ছিল যে, পৃথিবী
সমতল[৮]। গ্রিক
দার্শনিক টলেমি থেকে শুরু করে তৎকালীন
যুগের বড় বড় মনীষীগণ সবাই এ নীতিতে বিশ্বাস করতেন। কুরআনও অনুরূপ ধারণাই ব্যক্ত
করেছে পৃথিবীর আকৃতির ব্যাপারে। অথচ পৃথিবী গোলাকার।
আল কুরআনঃ "আর (অবিশ্বাসীরা কি দেখে
না যে, আল্লাহ্ কীভাবে পৃথিবীকে সমতল করেছেন"? (কুরআন, ৮৮ঃ২০)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ পৃথিবী গোলাকারের মধ্যে
সমতল প্রধান। পৃথিবীর অধিকাংশ ভূখন্ড সমতল। যার ফলে ৫ মহাদেশের প্রায় ২০০টি দেশের
প্রায় ১ হাজার কোটি মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল এই সমতল ভূমিতে অবস্থিত।
পর্বতমালা
ভূমিকম্প প্রতিরোধ করে
আপত্তিঃ আধুনিক বিজ্ঞানের
মতে, পৃথিবী পৃষ্ঠে ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন
পর্বতমালা সৃষ্টি হয়েছে। এসকল পর্বতমালা মোটেও ভূমিকম্প প্রতিরোধ করার কোন কাজে
আসে না। উপরন্তু দেখা যায়, যেসব অঞ্চলে পাহাড়-পর্বত বেশি
আছে, ঐসব অঞ্চলে ভূমিকম্প বেশি হয়।
আল কুরআনঃ "এবং তিনি পৃথিবীর উপর
এমনভাবে পর্বতকে গেঁথে দিয়েছেন যে, কখনো যেন
তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও"। (সুরা নাহল ১৬:১৫)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ মুসলিম ভাষ্যকারগণ এরূপ
অভিযোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, কুরআন
এখানে কোথাও বলে নি যে, পাহাড়-পর্বতের কাজ ভূমিকম্প
প্রতিরোধ করা। বরং পাহাড়-পর্বত এজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে করে পৃথিবী
মানুষদেরকে নিয়ে আন্দোলিত না হয়, বা হেলে না পড়ে।
পাহাড়-পর্বতের কারণে পৃথিবীর স্থিতিশীলতা বেড়েছে। ফলে, পৃথিবীর
কোন নির্দিষ্ট স্থানে কোন নির্দিষ্ট মূহুর্তে ওজন বেশি জড় হওয়ায় পৃথিবী ঐদিকে
ঘুরে যাওয়া, হেলে যাওয়া বা নড়ে পড়া এসব কিছুই হয় না। অতএব,
কুরআনের এই বক্তব্য বিজ্ঞানের সাথে বিরোধপূর্ণ নয়, বরং বিজ্ঞানের সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পর্বতমালা
পেরেকের মতো, একে উপর থেকে গেঁথে দেওয়া হয়েছে
আপত্তিঃ সমালোচকগণ
বলেন যে, কুরআন পর্বতকে পেরেক হিসেবে
উপমা পেশ করেছে। অথচ আধুনিক বিজ্ঞান বলে যে, ভূ-পৃষ্ঠে
বিভিন্ন প্লেটের মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে পর্বতমালা গড়ে উঠেছে। উপর থেকে গেঁথে
দেবার তত্ত্বে বিজ্ঞান বিশ্বাসী নয়।
আল কুরআনঃ "এবং তিনি পৃথিবীর উপর এমনভাবে পর্বতকে গেঁথে দিয়েছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না
পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও"। (সুরা নাহল ১৬:১৫)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ মুসলিম ভাষ্যকারগণ বলেছেন যে,
কুরআন যখন পৃথিবীর উপরস্থিত পর্বতের সাথে পেরেকের উদাহরণ দেয়,
তখন এর অর্থ পর্বতকে পেরেকের মতো পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়েছে তা
বুঝানো নয়। বরং পৃথিবীর পাহাড়-পর্বতের কাজের ধরন কেমন সেটি বুঝানো।
কুরআন বলছে যে, পেরেক যেমন অন্য
বস্তুর মধ্যে এমন ভাবে ঢুকানো হয় যে, এর সামান্য একটি অংশই
কেবল বাহির থেকে দেখা যায়, আর বড় অংশ দেখা যায় না- পর্বতের
ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।
বৃষ্টির
পানির বিশুদ্ধতা
আপত্তিঃ সমালোচকগণ
বলেন যে, কুরআনে বৃষ্টির পানিকে
বিশুদ্ধ বলা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, বৃষ্টির
পানি সব সময় দূষণমুক্ত থাকে না। বিশেষত, শিল্পাঞ্চলীয় এলাকায়
বৃষ্টির পানি অত্যন্ত দূষিত থাকে। এসব জায়গায় বৃষ্টি পতিত হলে পানি বাতাসে উপস্থিত
বিভিন্ন গ্যাসের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অম্ল বা এসিড উৎপন্ন করে, যা এসিড বৃষ্টি নামে পরিচিত।
আল কুরআনঃ "আর আমি মেঘমালা থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি " (কুরআন, ২৫:৪৮)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ ইসলামি ব্যাখ্যাকারগণ উপর্যুক্ত আয়াতের জবাবে বলেন যে, কুরআনে বৃষ্টির পানির মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কথা
বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ভূ-পৃষ্ঠস্থিত দূষিত ও ময়লাযুক্ত পানি বাষ্পীভূত হয়। এ সময় সূর্যালোকের তাপে কেবল পানিই বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়, ময়লা-ধুলি-মাটি ইত্যাদি জলাশয়ে পড়ে থাকে।
বাষ্পীভূত হবার পর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধুলি-বালির সাথে জলীয় বাষ্পে মিশে যায় বটে,
তবে উর্ধ্বস্থানে উঠে আবার ঘনীভূত হবার সময় কেবল জলীয় বাষ্পই ঘনীভূত
হয়ে মেঘ তৈরি করে। ফলে, মেঘ থেকে যখন বৃষ্টি হয়, তখন এই অতি সামান্য ধুলোবালি বাদ দিলে দেখা যায় বৃষ্টির পানি তুলনামূলকভাবে
অতি বিশুদ্ধ যাকে ডিস্টিল ওয়াটার বলা হয়।
আধুনিক যুগে মানুষের অসচেতনতা, প্রকৃতির
উপর আধিপত্য বিস্তার এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টকরণের দরুন বাতাসে
কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস, সালফার-ডাই-অক্সাইড গ্যাস,
নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস ইত্যাদির পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে বেড়ে যাচ্ছে।
ফলে, পতনশীল বৃষ্টির পানি এসবের সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন
ধরনের অম্ল বা এসিড উৎপন্ন করে। এ থেকে বোঝা যায়, বৃষ্টির
পানি সহজাতভাবে বিশুদ্ধ। যদি মানুষের হস্তক্ষেপের দরুন বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস
অস্বাভাবিক মাত্রায় বায়ুমণ্ডলে নির্গত না হতো তবে বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ রূপেই
ভূ-পৃষ্ঠে এসে পতিত হতো।
ফলে, মুসলিম ব্যাখ্যাকারদের মতে, কুরআন বৃষ্টির পানিকে বিশুদ্ধ বলে ঘোষণা করে যথেষ্ট বিজ্ঞানমনস্কতার প্রমাণ দিয়েছে।
পানিচক্র
আপত্তিঃ কুরআনের
সমালোচকগণ বলেন যে, কুরআন বিভিন্ন
স্থানে পানির প্রবাহ, সাগর-নদী-জলাশয়ে পানি জমা হওয়া,
মেঘ সৃষ্টি হওয়া, বৃষ্টি হয় ঝরে পড়া ইত্যাদি
বিষয় বর্ণনা করেছে। এসব আয়াত থেকে কুরআন পানিচক্র সম্বন্ধে কী ধারণা পোষণ করে,
সে সম্বন্ধে একটি মোটামুটি ধারণা লাভ করা যায়। এসকল বিচ্ছিন্ন আয়াতগুলোকে জড়ো করে কিছু মুসলিম ব্যাখ্যাকার
দাবি করেন যে, বিজ্ঞান আবিষ্কারের
অনেক আগেই কুরআন পানিচক্রের পূর্ণাংগ ধাপ ব্যাখ্যা করেছে। তাদের এ দাবিকে অসার
মন্তব্য করে সমালোচকগণ বলেন যে, পানি চক্রের ধাপগুলো হচ্ছে,
(১) মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে নেমে আসা (২) ভূ-পৃষ্ঠ দিয়ে চুইয়ে
চুইয়ে কিছু পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করা এবং কিছু পরিমাণ ভূপৃষ্ঠ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে
খাল-বিল-পুকুর-নদী-সাগর ইত্যাদি জলাশয়ে মিলিত হওয়া (৩)
বাষ্পীভবনের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠস্থ জলাশয়ের পানি জলীয় বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যাওয়া (৪)
জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি হওয়া।
সমালোচকগণ বলেন, পানি চক্রের এ প্রধান চারটি
ধাপের মধ্যে ১, ২, ও ৪ নম্বর ধাপ তিনটি
আমাদের অতি পরিচিত এবং খালি চোখেই দেখা যায়। বাষ্পীভবনের ধাপটি চোখে
দেখা যায় না এবং চিন্তা করাও অত্যন্ত দুষ্কর। আশ্চর্যজনকভাবে,
কুরআন বিভিন্ন স্থানে পানি চক্রের ধাপগুলো পুংখানুপুংখরূপে বর্ণনা
করেছে।
আল কুরআনঃ শপথ আকাশের, যা প্রত্যাবর্তককে ধারণ করে। (সূরা ত্বারিক)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ মুসলিম ব্যাখ্যাকারগণ উপর্যুক্ত সমালোচনার জবাবে কুরআনের
দ্ব্যর্থহীন ঘোষণাঃ শপথ
আকাশের, যা
প্রত্যাবর্তককে ধারণ করে। (সূরা ত্বারিক)
উপরের এ আয়াতটি প্রকৃতই বাষ্পীভবনের ধাপটি সম্বন্ধে পাঠককে প্রকৃত তথ্য
প্রদান করে।
আকাশস্থিত
পর্বত হতে শিলা বর্ষণ প্রসঙ্গে
আপত্তিঃ আবহাওয়াবিদ্যা
অনুসারে, মেঘখণ্ডের মধ্যে শিলার সৃষ্টি হয়। কিন্তু কুরআনে বলা হয়েছে,
শিলা সৃষ্টি হয় পাহাড় হতে। আর সেই পাহাড় কিনা আবার আকাশে অবস্থিত।
আল কুরআনঃ
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে
সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন; অতঃপর তুমি দেখ যে,
তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি আকাশস্থিত শিলাস্তুপ
থেকে শিলাবর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা,
তা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুৎঝলক দৃষ্টিশক্তি যেন বিলীন করে
দিতে চায়। (কুরআন,২৪:৪৩)।
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ তাফসীরে জালালাইন উপরের আয়াতের অর্থ ব্যাখ্যা করে বলেছে, 'এর দ্বারা আকাশের
পর্বত বোঝানো হয়েছে।' প্রকৃতপক্ষে,
আলোচ্য আয়াতে 'আকাশের পর্বত' দ্বারা আকাশস্থিত 'মেঘ' বোঝানো
হয়েছে। তাফসীরে ইবনে কাসীর এই মত ব্যক্ত করেছেন যে, হতে
পারে, 'পর্বত' শব্দটি দ্বারা আকাশে অবস্থিত
শিলার পাহাড়কে বোঝানো হয়েছে; আবার এও হতে পারে যে, এর দ্বারা রূপকার্থে 'মেঘ' বোঝানো
হয়েছে। তাফসীরকারকদের ব্যাখ্যানুযায়ী, আলোচ্য আয়াতে
বিজ্ঞানবিরোধী কিছু নেই।
প্রাণিবিদ্যা
পিঁপড়ার প্রাণি সনাক্তকরণ ও নিজেদের মধ্যে
কথা-বার্তা
আপত্তিঃ কুরআন নবী
সুলাইমান আলাইহিমুস সালাম এর কিছু ঘটনা প্রসংগে পিঁপড়ার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, পিঁপড়া সুলাইমান ও তার ধেয়ে
আসা দলকে দেখতে পেল। এমনকি, পিঁপড়াদের মধ্যে একটি পিঁপড়া
সুলাইমানকে চিনতেও পারল। মানুষ যেভাবে মানুষের সাথে উন্নত পদ্ধতিতে যোগাযোগ রক্ষা
করতে পারে, পিঁপড়ারাও একই রকমভাবে উন্নত যোগাযোগ করে।
বিজ্ঞান যদিও নিশ্চিত হয়েছে যে, পিঁপড়েরা এক ধরনের
তাড়িত-রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বটে, কিন্তু
তাদের এ যোগাযোগ মানুষের কথা-বার্তা বা ভাষার মত এত উন্নত নয়। সমালোচকগণ এ ঘটনাকে 'রূপকথার গল্প' হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
আল কুরআনঃ"যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে
পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সুলায়মান
ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে"। (সুরা নাম’ল ২৭:১৮)
ইসলামী ব্যাখ্যাঃ কুরআনের ব্যাখ্যাকারগণ উপরের সমালোচনার জবাবে বলেন, আধুনিক বিজ্ঞান মোতাবেক প্রাণিকুল পরস্পর
যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম, এমনকি উদ্ভিদগুলোও পরস্পরের সাথে
যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। আধুনিক বিজ্ঞানের এই তথ্য জানবার আগে কুরআনে বর্ণিত
সুলাইমান ও পিঁপড়ার গল্পটি অলীক মনে হতে পারে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের সুপ্রতিষ্ঠিত
তথ্য কুরআনের দেওয়া তথ্যেরই সমর্থন করছে (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল
আজীম)
ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং আল কুরআন
“মানুষ কি মনে করে যে আমি তার
অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারব না? বস্তুত: আমি তার অঙ্গুলির
অগ্রভাগ পর্যন্ত পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।” (সূরা আল ক্বিয়ামাহ, ৭৫:৩-৪)
উল্লেখ্য, সকল মানুষেরই একে অপরের আঙ্গুলের
ছাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন, স্বতন্ত্র। এ কারণে আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির পরম
উৎকর্ষতার যুগেও এককালের নিরক্ষর মানুষের সই-স্বাক্ষরবিহীন নিছক বুড়ো আঙ্গুলের
স্বাক্ষর এখন “ব্যক্তি সনাক্তকরণ”-এর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জনপ্রিয় মাধ্যম। দুইজন মানুষের আঙ্গুলের ছাপ এক রকম না হওয়ায় “ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকাশন” এর এই বিরল বৈশিষ্ট্য বর্তমানে
“সিকিউরিটি অথেন্টিক্যাশেন মেথড”
হিসেবে ব্যবহত
আরবের কাফেররা প্রশ্ন করতো, মানুষ
মরে গেলে তার হাঁড় পৃথিবীতে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে,কেয়ামতের দিন কিভাবে এসকল লোকদেরকে চিহ্নিত করা হবে?
সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন, তিনি কেবল তোমাদের হাঁড় -
হাড্ডিকে একত্রিত করা নয়; বরং তোমাদের আঙ্গুলের ছাপ পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে সক্ষম।
ত্বক বিজ্ঞান বিষয়ক আল কুরআনের সত্যতা
“যারা আমার আয়াতকে অবিশ্বাস
করে তাদের আগুনে দগ্ধ করবই। যখনই তাদের চর্ম দগ্ধ হবে তখনই তার স্থলে নতুন চর্ম
সৃষ্টি করব, যাতে তারা শাস্তি ভোগ করে। নিশ্চয় আল্লাহ
পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা আন নিসা,
৪:৫৬)
যেসব স্নায়ুপ্রান্ত বেদনা বোধ করে তা চামড়ায়
রয়েছে। যখন চামড়া মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়, তখন
স্নায়প্রান্ত ধ্বংস হয়ে যায় ও বেদনা আর টের পাওয়া যায় না। জাহান্নামে আল্লাহ
পুনরায় চামড়া সৃষ্টি করবেন যাতে তার অধিবাসীরা স্থায়ীভাবে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। “নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ হবে পাপীর খাদ্য; গলিত
তাম্রের মত তা উদরে ফুটতে থাকবে, ফুটন্ত পানির মত।’ ‘আস্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো ছিলে সম্মানিত, অভিজাত। তোমরা তো এ শাস্তি সম্পর্কে সন্দিহান ছিলে।’ (সূরা আদ দুখান, ৪৪:৪৩-৫০)
“…এবং যাদের পান করতে দেওয়া
হবে ফুটন্ত পানি যা তাদের নাড়িভুড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।” (সূরা মুহাম্মাদ, ৪৭:১৫)
৮ম “কোরআন-সুন্নাহর বৈজ্ঞানিক নিদর্শন” বিষয়ক রিয়াদ সম্মেলনে ত্বক বিজ্ঞান
বিষয়ক আল কুরআনের সত্যতা তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, থাইল্যাণ্ডের চিয়াংমাই বিশ্ববিদ্যালয়ের Anatomy
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক
তাগাতাত তিজাসেন চামড়ার ব্যথা অনুভবকারী উপাদানের উপর দীর্ঘ দিন ব্যাপী
গবেষণা করেছেন। প্রথমদিকে,তিনি বিশ্বাস করেননি যে, ১৪০০ বছর আগে কোরআন এ বিষয়ে কথা বলেছে। তিনি কোরআনের এই আয়াতের অনুবাদ
পরীক্ষা করে দেখেন। তিনি কোরআনের আয়াতের এরূপ বৈজ্ঞানিক যথার্থতায় এত বেশী মুগ্ধ
হন যে, রিয়াদে অনুষ্ঠিত কোরআন ও সুন্নাহর বৈজ্ঞানিক নিদর্শন
বিষয়ক ৮ম সম্মেলনে প্রকাশ্যে ঘোষণো করেনঃ
اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ ، وَ
اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه
“আশহাদু আল লা—ইলা-হা
ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আ'বদুহু ওয়া রসূলুহ।
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতিত আর কোন সত্য ইলাহ নেই, আমি আরও
সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর
বান্দা এবং রসূল”।
Allah Hafiz
সমাপ্ত-END
For
details Please Visit:
https://wmitou1441.blogspot.com
Posted by
Islamic Research for Reviving Knowledge, Science & Technology Center
at
08:42
No comments:
Subscribe to:
Posts (Atom)